শিরোনাম
খালাসের বিরুদ্ধে শুনানি চলছে আপিল বিভাগেবিদেশ–বিভুঁইয়ে পালিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ নেতাদের দিন কাটছে যেভাবেলাজ ফার্মার বিরুদ্ধে অভিযোগকারী পেলেন ১ লাখ ২৫ হাজার টাকাভোটের মাঠে পুলিশ-আর্মি যথেষ্ঠ নয়, স্কুলছাত্রদেরও চান এবি পার্টির চেয়ারম্যানস্থগিত হওয়া মনোনয়নপত্র বিতরণ রোববার থেকে শুরুএকই স্থানে বিএনপির দুই পক্ষের কর্মসূচি ঘিরে সংঘর্ষ-ভাঙচুর, আহত ৬বাংলাদেশ কেমিস্টস্ এন্ড ড্রাগিস্টস্ সমিতি বরিশাল জেলা শাখা কমিটির পরিচিতি সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানবাস্তবায়ন না হলে বিসিবির ‘শেয়ার-কেয়ারে’ সুফল আসবে না: মুশফিকবুড়িগঙ্গার তীর থেকে সাবেক প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাংলোবাড়ি উচ্ছেদভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা প্রকাশ ১০ সেপ্টেম্বর

নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তারের পর আত্মগোপনে যান সিইসি হাবিবুল: ডিবি

নূরুল হুদাকে গ্রেপ্তারের পর আত্মগোপনে যান সিইসি হাবিবুল: ডিবি

রাজধানীর উত্তরা থেকে সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদাকে গত রোববার গ্রেপ্তারের পর নিজ বাসা ছেড়ে মগবাজারে একটি বাসায় আত্মগোপনে ছিলেন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি সব ধরনের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন বলে জানিয়েছেন ডিএমপির যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন ও গোয়েন্দা-দক্ষিণ) মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম।

আজ বুধবার বিকেলে ডিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব তথ্য জানান।

নাসিরুল ইসলাম বলেন, ২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি (কাজী হাবিবুল আউয়াল) প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ছিলেন। তার বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিএনপিসহ অধিকাংশ রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ না করা সত্ত্বেও নির্বাচনের আয়োজন এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করতে না পারা, শুধুমাত্র আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ সমর্থিত ডামি ক্যান্ডিডেট ও জাতীয় পার্টিকে দিয়ে নির্বাচন করানো, এমনকি নির্বাচনের দিনে ভোটের পরিসংখ্যান নিয়ে দ্বিচারিতা করা। ভোটের পরিসংখ্যান সংক্রান্ত যে বিশ্লেষণ তা নিয়ে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দেওয়া, পরবর্তী সময়ে সাংবিধানিক পদে থেকে সংবিধান ও নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করে যারা নির্বাচনে জয়ী হয়েছেন তাদের গেজেট প্রকাশ করা। এসব অভিযোগে দায়ের করা মামলায় তাকে রাজধানীর মগবাজার থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, মগবাজারে যেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সেটি মূলত তার বাসা নয়। আমাদের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল যে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন। সেই তথ্যের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি তিনি মগবাজারে রয়েছেন। সেখানে নজরদারির মধ্যেই আজ তাকে ডিবি পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করে।

গ্রেপ্তার এড়াতে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিনা জানতে চাইলে ডিএমপির এ যুগ্ম পুলিশ কমিশনার বলেন, যেহেতু আমরা তাকে একটি ভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করেছি অর্থাৎ তার অবস্থান নিজ বাসগৃহে ছিলেন না। আমরা বলতে পারি যে, তিনি আত্মগোপনে ছিলেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আমরা তার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে অবস্থান নিশ্চিত হয়ে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।

মগবাজারে কার বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে—জানতে চাইলে তিনি বলেন, মোবাইল নম্বরের ভিত্তিতেই আমরা তার অবস্থান শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করেছি। তার মোবাইল বন্ধ অবস্থা থেকে একবার ওপেন করা হলে আমরা তার অবস্থান শনাক্ত করতে সক্ষম হই। তবে, বাসাটি কার সেটি বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

বিএনপির পক্ষ থেকে রাজধানী শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলায় আসামি ২৪ জন। সেই মামলায় অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে ডিএমপি কী পদক্ষেপ নিচ্ছে—জানতে চাইলে নাসিরুল ইসলাম বলেন, আমরা আইনানুগ পদক্ষেপ নিচ্ছি। যেহেতু মামলা হয়েছে, অভিযুক্ত সবার বিষয়ে আমাদের গোয়েন্দা তৎপরতা আছে। অবস্থান শনাক্ত করতে পারলে গ্রেপ্তার করতে পারব।

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যে নির্বাচন দিয়ে বিতর্কিত স্বৈরাচারী শাসনের শুরু, সেই নির্বাচনের সময়কার সিইসি কাজী রকিব উদ্দিন একই মামলার আসামি। তাকে গ্রেপ্তার করা হবে কিনা—জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা এই মামলার এজাহারভুক্ত সব আসামিকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা নজরদারি ও কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। আমরা সুনির্দিষ্ট তথ্য-উপাত্ত পেলে গ্রেপ্তার করব।

গ্রেপ্তার হাবিবুল আউয়ালকে আজই আদালতে প্রেরণ করা হচ্ছে কিনা—জানতে চাইলে ডিবির এ যুগ্ম কমিশনার বলেন, এই মামলা শেরেবাংলা নগর থানার। তদন্তকারী কর্মকর্তা আসবেন। প্রথম অবস্থায় কাউকে গ্রেপ্তারের পর কিছু ইনিশিয়াল ম্যানেজমেন্ট থাকে। সেসব শেষ করে যদি তদন্তকারী কর্মকর্তা মনে করেন, আজই আদালতে প্রেরণ করা সম্ভব তাহলে সেটা করা হবে। আর যদি সেটা আজ সম্ভব না হয় তাহলে কালকে তাকে কোর্টে প্রেরণ করা হবে।

গত ২২ জুন রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য মো. সালাহ উদ্দিন খান বাদী হয়ে একটি মামলা করেন। সেই মামলায় আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক তিন প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে আসামি করা হয়। মামলার মোট আসামি ২৪ জন। এর মধ্যে আছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের সাবেক ৪ আইজিপি।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button