ভাড়া বললে গালি, প্রতিবাদে মার! বরিশালে যাত্রা মানেই ঝুঁকি


বরিশাল শহরের অভ্যন্তরীণ যাতায়াতে অটোরিকশা ও সিএনজিচালিত যানবাহন প্রধান ভূমিকা পালন করলেও, নির্ধারিত ভাড়া না থাকায় সাধারণ যাত্রীরা নিয়মিত ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন।
এক সময় নগরীর বিভিন্ন স্বল্প দূরত্বের রুটে ৫ টাকায় যাতায়াত সম্ভব ছিল। বর্তমানে একই রুটে ১৫ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত গুণতে হচ্ছে। ভাড়া নিয়ে প্রশ্ন করলেই চালকেরা অসৌজন্যমূলক আচরণ করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
নগরবাসীর একাংশ জানায়, “ভাড়া জিজ্ঞেস করলেই অনেকে ক্ষেপে যান। অনেক সময় যাত্রীদের নামিয়ে দেওয়ার হুমকি দেন।” এমনকি মাঝেমধ্যে যাত্রীদের সঙ্গে কথাকাটাকাটির পাশাপাশি শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়ার ঘটনাও শোনা যায়।
বর্তমানে বরিশাল শহরে সিএনজি ও ব্যাটারিচালিত অটোর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ার পরও, পরিবহন খাতে তদারকির অভাব স্পষ্ট। ভাড়ার কোনো নির্দিষ্ট তালিকা নেই, এবং চালকেরা নিজ দায়িত্বে ভাড়া নির্ধারণ করেন।
এ বিষয়ে বরিশাল সিটি কর্পোরেশন বা বিআরটিএ’র পক্ষ থেকে কোনো সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ চোখে পড়ে না। ফলে যাত্রীরা প্রতিদিনের যাতায়াতে নানা হয়রানি ও মানসিক চাপে পড়ছেন।
নগরবাসীর দাবি, দ্রুত একটি নির্ধারিত ভাড়া তালিকা প্রকাশ ও তা কার্যকর করতে হবে। একই সঙ্গে চালকদের আচরণবিধি বাস্তবায়ন এবং নিয়মিত নজরদারি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে।