শিরোনাম

আনিসুল-মোশাররফসহ তিনজন আবার রিমান্ডে

আনিসুল-মোশাররফসহ তিনজন আবার রিমান্ডে

রাজধানীর শাহবাগ ও পল্টন মডেল থানার পৃথক দুই মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন এবং বাংলাদেশ পিপলস পার্টির (বিপিপি) চেয়ারম্যান বাবুল সরদার চাখারীকে আবার রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম. মিজবাহ উর রহমান রিমান্ডে নেওয়ার এ নির্দেশ দেন।

তিনজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। শুনানি শেষে আনিসুলকে একটি হত্যা মামলায় ৫ দিন এবং মোশাররফ হোসেন ও বাবুল চাখারীকে একটি হত্যাচেষ্টা মামলায় তিন দিন করে রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনিরকে হত্যার অভিযোগে শাহবাগ থানার মামলায় আনিসুলকে গ্রেপ্তার দেখানোসহ ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে পল্টন থানায় দায়ের করা মামলায় মোশাররফ হোসেন ও বাবুল সরদার চাখারীকে ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত আনিসুল হকের ৫ দিন ও অপর দুজনের ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

হত্যা মামলার অভিযোগে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট শাহবাগ থানার চানখারপুল এলাকায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আন্দোলনে অংশ নেন ঝুট ব্যবসায়ী মো. মনির। দুপুরে গুলিতে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী গত ১৪ মার্চ শাহবাগ হত্যা মামলা করেন।

হত্যাচেষ্টা মামলার সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর স্বৈরাচার শেখ হাসিনা সরকারের গুম, খুন, নিপীড়ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ আয়োজন করা হয়। এতে দেশের সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে বিএনপি ও গণঅধিকার পরিষদসহ অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দল এই মহাসমাবেশের ডাক দেয়। এতে ভুক্তভোগী বদরুল ইসলাম সায়মন অংশ নেন।

শান্তিপূর্ণ সমাবেশে অতর্কিতভাবে হামলা করে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় হামলাকারীদের ছোড়া এলোপাতাড়ি গুলিতে বাদী নিজে গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। এ ঘটনায় গত ২৯ এপ্রিল ভুক্তভোগী গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মন বাদী হয়ে রাজধানীর পল্টন মডেল থানা হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৫ জনকে আসামি করা হয়।

উল্লেখ্য, গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন স্থান থেকে বিভিন্ন তারিখ ও সময়ে গ্রেপ্তার হন এই তিনজন। তাদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button