শিরোনাম
দক্ষিণাঞ্চলের সাংগঠনিক দায়িত্বে ডা. মাহমুদা মিতু, এনসিপির আঞ্চলিক টিম ঘোষণাবরিশালে ঋণের চাপ সহ্য করতে না পেরে যুবকের আত্মহত্যাশ্যালিকাকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই শিশুকে খুন, দুলাভাইয়ের মৃত্যুদণ্ডশ্রমিক দিবসে গৃহকর্মীদের জন্য ন্যায্যতা ও স্বীকৃতির দাবি থেকে আভাস-এর আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনশিশুদের চোখে নববর্ষ: রঙ, আনন্দ আর শোভাযাত্রার গল্পএর বিচার না হলে মানুষ আস্থা হারাবে বিএনপি থেকেবরিশালে ছাত্রলীগ নেতাকে নিয়ে বিপাকে পুলিশপতাকা গায়ে জড়িয়ে ইমোশনাল মার্কেটিং—বয়কটের মুখে মোজোসোহরাওয়ার্দী অভিমুখে ‘মার্চ ফর গাজা’আওয়ামী লিগ’সহ পাঁচ দলের নামে ইসিতে নিবন্ধন আবেদন

গাছ কাটতে গিয়ে ঘটল অলৌকিক ঘটনা, তোলপাড়

গাছ কাটতে গিয়ে ঘটল অলৌকিক ঘটনা, তোলপাড়

মাগুরা সদর উপজেলার ১৮ খাদা ইউনিয়নের চন্দনপ্রতাপ গ্রামে কয়েকটি গাছ কাটতে গিয়ে অলৌকিক ঘটনা ঘটে, যা এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। গাছ কাটার সময় কাঠুরেরা অলৌকিক শব্দ শুনে অসুস্থ হয়ে পড়েন, এবং গাছ কাটার পর তার শেকড় থেকে রক্ত বের হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা এটিকে দৈব ঘটনা হিসেবে গ্রহণ করেন। এরপর থেকেই ওই গাছের কাছে প্রতিদিন শত শত মানুষ ভিড় করতে থাকে, এবং গাছের গোড়া পরিষ্কার করে পূজা ও সাধনা শুরু করেন তারা।

অলৌকিক ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে দূর-দূরান্ত থেকে অনেক মানুষ ওই গাছের কাছে এসে পূজা দিতে শুরু করে। সরল বিশ্বাসে, তারা দেবতার কাছে তাদের মানোবাসনা পূরণের জন্য প্রার্থনা করতে থাকেন এবং গাছের ধুলো মাখার মাধ্যমে নিজেদের রোগমুক্তির আশা প্রকাশ করেন।

স্থানীয়রা জানায়, চন্দনপ্রতাপ গ্রামের বিপুল সরকার ও তার ভাইদের পৈতৃক জমিতে বহু বছর ধরে শিমুল গাছগুলো অবস্থান করছিল। এই ভিটা স্থানীয়দের কাছে একটি পুরনো দোল ভিটা হিসেবে পরিচিত। সম্প্রতি চৈতন্য সরকার ও বিদ্যুৎ সরকার এই গাছগুলো উত্তম বিশ্বাসকে বিক্রি করেন, এবং উত্তম বিশ্বাস গাছ কাটানোর জন্য কাঠুরেদের নিযুক্ত করেন। কাঠুরেরা গাছ কাটতে শুরু করলে তারা অদ্ভুত কিছু শব্দ শুনতে পান এবং অচিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে, একজন কাঠুরে উঁচু করে শূন্যে তুলে নেয়।

গাছ কাটতে গিয়ে ঘটল অলৌকিক ঘটনা, তোলপাড়

এ খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং আশপাশের মালন্দ, অক্কুরপাড়া, নলদা, বেনিপুরসহ বিভিন্ন গ্রাম থেকে মানুষ এসে ওই গাছের গোড়ায় ভিড় জমান। উৎসাহী গ্রামবাসীরা গাছের গোড়ায় পূজা-অর্চনা শুরু করেন। এতে এলাকাটি এক ধর্মীয় উৎসবে পরিণত হয়ে ওঠে এবং অনেকেই ধুলে গাছের আশীর্বাদ পেতে শরীরে মাখতে শুরু করেন। হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মানুষই এটি একটি আধ্যাত্মিক স্থান হিসেবে বিশ্বাস করে ভিড় করতে থাকেন।

তবে, ধর্মীয় বিশ্বাসের পাশাপাশি, গাছগুলো পরিবেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ আন্দোলনের কর্মী অ্যাডভোকেট তুষার কান্তি বিশ্বাস। তিনি বলেন, গাছ মানুষের প্রকৃত বন্ধু এবং পরিবেশের রক্ষক। অকারণে গাছ কাটার বিরোধিতা করে তিনি সকলকে গাছ সংরক্ষণে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন মাগুরা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রূপক আইচ বলেন, আমাদের চারপাশে প্রতিদিন যেভাবে গাছ নিধন করা হচ্ছে, তা পরিবেশ এবং জীববৈচিত্র্যকে বিপন্ন করছে। ১৮ খাদা ইউনিয়নের চন্দনপ্রতাপ গ্রামে গাছ কাটতে গিয়ে অলৌকিক ঘটনার যে খবর ছড়িয়েছে, তা প্রকৃতির এক সংকেত হিসেবে মনে করা উচিত। গাছ না থাকলে, সবুজ না থাকলে আমাদের অস্তিত্বও বিপন্ন হবে।

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button