‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে বক্তব্য শেষ করলেন রিকশাচালক দলের নেতা, বিতর্ক


জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে বেতাগীতে বিজয় মিছিল ও সমাবেশ করেছে বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনগুলো। এ কর্মসূচির অংশ হিসেবে সোমবার (৫ আগস্ট) দুপুরে বেতাগী পৌরশাখার রিকশাচালক দলের আয়োজনে একটি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সংগঠনের সভাপতি মো. মিলন মিয়ার বক্তব্যে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান শোনা যাওয়ায় বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে। বক্তব্যের সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া এক মিনিট ৯ সেকেন্ডের ভিডিওতে মিলন মিয়াকে বলতে শোনা যায়, “আজকের রিকশাচালক দল বেতাগী উপজেলা শাখার পক্ষ থেকে ৫ আগস্টে জুলাই যোদ্ধাদের স্মরণে যারা শহীদ হয়েছেন, তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। যারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন বা চিকিৎসা নিয়েছেন, তাদের প্রতি সরকার যেন সহযোগিতা করে—এই আশাবাদ ব্যক্ত করছি। এই রিকশাচালক জনতা ৫ তারিখের ফ্যাসিবাদী সরকার আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনাকে দেশ থেকে হটিয়েছে। জয় বাংলা, তারেক রহমান জিন্দাবাদ, তারেক রহমান জিন্দাবাদ, শহীদ জিয়া অমর হোক।”
তার বক্তব্যে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়াকে ঘিরে বেতাগী উপজেলা বিএনপি ও এর অঙ্গসংগঠনের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। স্থানীয় নেতাকর্মীরা বলছেন, “বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিএনপিতে নতুন নতুন নেতাকর্মীর আবির্ভাব হয়েছে। এসব তথাকথিত নেতার কারণে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। হাইব্রিড নেতাদের বের করে না দিলে দলীয় শৃঙ্খলা রক্ষা কঠিন হবে।”
এ বিষয়ে বেতাগী উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব গোলাম সরোয়ার রিয়াদ খান বলেন, “আমাদের দলে কিছু সুযোগসন্ধানী ঢুকে পড়েছে। গত ১৭ বছর এ দলে ছিল না, এখন আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দলে ভিড় করছে। কিছু লোকের বিতর্কিত আচরণে দলের সম্মানহানি হচ্ছে। আমরা দলীয়ভাবে ব্যবস্থা নেব।”
এ বিষয়ে জানতে চাইলে রিকশাচালক দলের সভাপতি মিলন মিয়া বলেন, “ভিডিওটা আমার না। কে বা কারা ভিডিওর মধ্যে কার্ড (এডিট) করে এই অংশ ঢুকিয়ে দিয়েছে। অনেক দুষ্ট চক্র আছে—তারা করেছে। আমি ‘তারেক রহমান জিন্দাবাদ’, ‘শহীদ জিয়া অমর হোক’ বলেছি, ‘জয় বাংলা’ বলিনি।”