থানচিতে গণশৌচাগার থাকা সত্ত্বেও পর্যটকদের দুর্ভোগ


বান্দরবানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি থানচি উপজেলায় চারটি গণশৌচাগার থাকলেও প্রায় এক বছর ধরে সেগুলো অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে আছে। এর ফলে প্রতি বছর হাজার হাজার পর্যটক এবং স্থানীয় জনসাধারণ, বিশেষ করে নারী ও শিশুদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
থানচি, যা পর্যটননগরী হিসেবে বিখ্যাত, তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য যেমন নাফাখুম, রাজাপাথর, আমিয়াখুম, বেলাখুম এবং রেমাক্রীখুম দেখতে পর্যটকদের ভিড় লেগেই থাকে। কিন্তু শৌচাগারের অভাবে প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে গিয়ে তাদের বিড়ম্বনায় পড়তে হচ্ছে।
সরেজমিনে জানা যায়, থানচিতে মোট চারটি গণশৌচাগার রয়েছে। এর মধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে নির্মিত দুটি শৌচাগার ব্যবসায়ীরা ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করছেন। একটি শৌচাগার বন্যার পানিতে নষ্ট হয়ে গেছে, আরেকটি তালাবদ্ধ অবস্থায় পড়ে আছে।
অভিযোগ আছে, বাস স্টেশনের শৌচাগারটি জান্নাত রেস্টুরেন্টের মালিক রানা এবং পর্যটক গাইড অফিসের পাশে দুটি শৌচাগারের মধ্যে একটি পেটুক ও পর্দ্দ ঝিরি রেস্টুরেন্টের মালিকেরা অবৈধভাবে ব্যবহার করছেন। আরেকটি শৌচাগার স্থানীয় এক রাজনৈতিক নেতা দিলু রহমান লিজ নিয়ে রেখেছেন।

রাজধানী ঢাকা থেকে আসা পর্যটক মো. আব্দুর রহমান বলেন, ‘আমরা দূর-দূরান্ত থেকে এখানে প্রশান্তির জন্য আসি, কিন্তু শৌচাগারগুলো তালা ঝোলানো থাকায় চরম লজ্জায় পড়তে হয়।’ তার স্ত্রী শাজেদা একই অভিযোগ করে বলেন, ‘পুরুষেরা কোনোভাবে কাজ সারতে পারলেও আমাদের মতো নারীদের জন্য এটি খুবই কষ্টকর।’ তিনি দ্রুত শৌচাগারগুলো চালুর জন্য কর্তৃপক্ষের কাছে অনুরোধ জানান।
থানচি পর্যটক পথ প্রদর্শক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মামুনুর রশিদ জানান, তারা শৌচাগারগুলো চালুর জন্য দিল মোহাম্মদ দিলুকে একাধিকবার অনুরোধ করেছেন। কিন্তু তিনি বর্তমানে অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে এলজিইডির লামা উপজেলা প্রকৌশলী (থানচির অতিরিক্ত দায়িত্বপ্রাপ্ত) মো. আবু হানিফ বলেন, তিনি সম্প্রতি দায়িত্ব পেয়েছেন এবং বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত ছিলেন না। তিনি দ্রুত প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
ক্রাইম জোন ২৪