শিরোনাম

আবাহনীকে হারিয়ে চ্যালেঞ্জ লিগে কিরগিজস্তানের ক্লাব

আবাহনীকে হারিয়ে চ্যালেঞ্জ লিগে কিরগিজস্তানের ক্লাব

Ajker Patrika

আবাহনীকে হারিয়ে চ্যালেঞ্জ লিগে কিরগিজস্তানের ক্লাব

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশ : ১২ আগস্ট ২০২৫, ১৯: ২৪

Photo

আবাহনীর খেলোয়াড়দের কাটিয়ে বল নিয়ে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা মুরাস ইউনাইটেডের এক খেলোয়াড়ের। ছবি: বাফুফে

একেকটা পাসের পর হতাশা ঝাড়ছিলেন সুলেমান দিয়াবাতে। প্রতিপক্ষে দীর্ঘদেহী ফুটবলারদের সামনে কোনোভাবেই পেরে উঠছিলেন না বাকিরা। যা লড়াই করার তা দেখা গেছে শুধু দিয়াবাতের মধ্যে। দিন শেষে বিফলেই যায় তা। আবাহনী লিমিটেডকে ২-০ গোলে হারিয়ে এএফসি চ্যালেঞ্জ লিগের মূল পর্বে নাম লিখিয়েছে কিরগিজস্তানের ক্লাব মুরাস ইউনাইটেড।

জাতীয় স্টেডিয়ামে ষষ্ঠ মিনিটে আলিগুলোভ মাকসাতের কাটব্যাক থেকে সুযোগ পেয়েছিলেন ওলে মারচুক। কিন্তু লক্ষ্যে শট নিতে পারেননি তিনি। ১০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে চাভেল গোমেজের শট ঠেকিয়ে দেন আবাহনী গোলরক্ষক মিতুল মারমা।

১২ মিনিটে কামরুলের দুর্বল ফ্রি কিক কোনো বিপদ তৈরি করতে পারেনি। একই মিনিটে আলিগুলোভের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মিতুল। ১৮ মিনিটে একক চেষ্টায় আক্রমণে ওঠেন। একজন ডিফেন্ডার কাটিয়ে চিপ করলেও তা ঠিকঠাক না হওয়ায় বারের ওপর দিয়ে বাইরে চলে যায়।

মিতুলের ওপর যে চাপ পড়াবে সেটা অনুমিত ছিল। ২২ মিনিটে আরও একবার রক্ষাকর্তা হয়ে দাঁড়ান এই গোলরক্ষক। বক্সের ভেতর থেকে চাভেল গোমেজের শট ডানদিকে ঝাঁপিয়ে ঠেকান তিনি।

পাল্টা আক্রমণের অপেক্ষায় থাকা আবাহনী সুযোগ পায় ২৩ মিনিটে। হাসান মুরাদের দারুণ থ্রু বলে মুরাস ইউনাইটেডের ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে বক্সে ঢুকে যান মোহাম্মদ আল আমিন। গোলরক্ষককেও একা পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু গোলমুখে শট না নিয়ে উলটো কাটব্যাক করতে গিয়ে সুযোগ নষ্ট করেন এই ফরোয়ার্ড। ৩১ মিনিটে আরও একবার হতাশ করে আকাশি-নীল জার্সিরা। একক প্রচেষ্টায় বক্সে ঢুকে যাওয়া দিয়াবাতের পাস থেকে মোহাম্মদ ইব্রাহিম লক্ষ্যভেদ করতে পারেননি।

৪৮ মিনিটে এগিয়ে যায় মুরাস। আন্দ্রি বাতসুলার ক্রসে হেডে গোল করেন আতাই ঝুমাশেভ। ৫২ মিনিটে আলিগুলোভ মাকসাতের শট বারের ওপর দিয়ে না গেলে ব্যবধান দ্বিগুণ হতে পারত। ঝিমিয়ে পড়া আবাহনী জেগে ওঠার চেষ্টা করে শেষ দিকে। ৭২ মিনিটে শেখ মোরসালিনের শট এক ফুটবলারের গায়ে লেগে প্রতিহত হয়। সেটাও খুব একটা উজ্জীবিত করতে পারেননি আবাহনী। যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে আবার আকাশি-নীলদের হৃদয় ভাঙেন ঝুমাশেভ। কামরুলের কাছ থেকে বল কেড়ে নিয়ে বক্সের দিকে ছুটতে থাকেন তিনি। দারুণ দৌড়ের মিতুলকে পরাস্ত করতে কোনো অসুবিধাই হয়নি তাঁর।

এমন এক গোলের পর যেন পূর্ণতা পায় মুরাস ভক্তদের। তাদের সঙ্গে তাল মেলান মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের এক সমর্থক। আবাহনীর হারে বরং খুশিই হয়েছেন তিনি, চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব বলে কথা! অথচ আবাহনীর জায়গায় প্রাথমিক পর্বের এই ম্যাচে থাকার কথা ছিল লিগ চ্যাম্পিয়ন মোহামেডানের। এএফসি লাইসেন্স না থাকার কারণে সেই সুযোগ লুফে নিতে পারেনি তারা।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button