আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ, তালা


ময়মনসিংহের আনন্দ মোহন কলেজের সদ্য দায়িত্ব পাওয়া ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাকির হোসেনের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। অধ্যক্ষকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে আজ মঙ্গলবার বেলা ২টা থেকে সাড়ে ৩টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। এ সময় তাঁরা অধ্যক্ষের কক্ষে তালা ঝুলিয়ে দেন। তবে তখন তিনি কক্ষে ছিলেন না।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা বলেন, আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে সদ্য যোগদান করা অধ্যাপক মো. সাকির হোসেন আওয়ামী লীগের দোসর। তাঁর ছোট ভাই রাকিব হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। রাকিব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সাগর হত্যা মামলার আসামি। তাই অধ্যক্ষের অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
কলেজের শিক্ষার্থী মোহন হোসেন বলেন, ‘কলেজে আমরা কোনো ফ্যাসিস্টকে দেখতে চাই না। সাবেক অধ্যক্ষ আমান উল্লাহ বদলি হওয়ার পর সাকির হোসেন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পান। তাঁর অপসারণ না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।’

আরও এক শিক্ষার্থী অনিক আহমেদ তকি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের উসকানিদাতা ও সাগর হত্যা মামলার আসামির ভাই সাকির স্যারকে এই ক্যাম্পাসে আমরা চাই না। ৩৭ হাজার শিক্ষার্থীর একটাই দাবি, তাঁর অপসারণ। এই চেয়ার সাকির স্যারের জন্য নয়। তাঁর অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ, মানববন্ধন ও তালা ঝুলিয়ে আন্দোলন করছি। প্রয়োজনে আমরা আরও কঠোর আন্দোলনে যাব।’
আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. সাকির হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি আওয়ামী লীগের দোসর নই। শিক্ষার্থীরা তাদের সুবিধার জন্য আমাকে চাপ প্রয়োগ করছে। আমার ভাই সাগর হত্যা মামলার আসামি, তবে সেই দায়ভার আমার নয়। জোহরের নামাজে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে শিক্ষার্থীরা আমার কক্ষে তালা দিয়েছে। তাদের বোঝানোর জন্য শিক্ষক প্রতিনিধিরা কাজ করছেন। আশা করছি, সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে।’
কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের অপসারণ দাবিতে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন।
৩ আগস্ট আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে অধ্যাপক মো. সাকির হোসেন দায়িত্ব নেন। এর আগে গত ৩ জুলাই উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক সাকির উপাধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন।
ক্রাইম জোন ২৪