ঋণ দেওয়ার দিন জমা টাকা নিয়ে লাপাত্তা ভুয়া এনজিও


গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে শতাধিক সদস্যের জমা করা প্রায় ১০ লাখ টাকা নিয়ে লাপাত্তা কমিউনিটি অ্যাকশন ফর রুরাল ডেভেলপমেন্ট (সিএএফআরডি) নামের একটি ভুয়া এনজিও।
এনজিওটির গত রোববার সদস্যদের ঋণ দেওয়ার কথা ছিল, কিন্তু ওই দিনই কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা। ঘটনাটি জানাজানি হওয়ার পর থেকে উপজেলার চর পিংগলিয়া এলাকার ওই এনজিও কার্যালয়ে ভিড় করছেন সদস্যরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ৩১ জুলাই চর পিংগলিয়ায় লিংকন রায়ের বাড়ি ভাড়া নিয়ে কার্যালয় খোলে সিএএফআরডি। ভুয়া এনজিওটির কর্মীরা পরে বিভিন্ন গ্রামে গিয়ে শতাধিক ব্যক্তি থেকে সদস্য ফি বাবদ ১ হাজার ১২০ টাকা ও ঋণ দেওয়ার কথা বলে জনপ্রতি ৩ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় নেন। রোববার সকালে সদস্যদের ঋণ দেওয়ার কথা ছিল; কিন্তু তাঁরা এসে দেখেন কার্যালয়টি তালাবদ্ধ এবং সাইনবোর্ড নামিয়ে পালিয়েছেন এনজিওর কর্মীরা। সঞ্চয়ের টাকা উদ্ধারের আশায় আজ মঙ্গলবারও সদস্যদের কার্যালয়ের সামনে ভিড় করতে দেখা গেছে।
পিংগলিয়া গ্রামের গৌতম চক্রবর্তী বলেন, ‘পাঁচ দিন আগে দুই বছর মেয়াদি ঋণের আশায় বিমাসহ প্রথমে ১ হাজার ১২০ টাকা দিয়ে ভর্তি হই। পরে ১ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা সঞ্চয় জমা করতে বলে। তখন টাকা জমা করলে রোববার ১২টার সময় ঋণ নিতে অফিসে আসতে বলেন এনজিওকর্মী। এসে দেখি, অফিসে তালা লাগিয়ে তাঁরা পালিয়েছেন।’
একই গ্রামের রাসেল মোল্লা বলেন, ‘৪ লাখ টাকা ঋণ পাওয়ার আশায় তিন দিন আগে ৫০ হাজার টাকা সঞ্চয় জমা দিয়েছি। কিন্তু এখন দেখছি, এনজিওটি ভুয়া। তারা গ্রাহকদের টাকা নিয়ে পালিয়েছে। ঋণ পাওয়ার আশায় ধারদেনা করে টাকা দিয়েছিলাম। এখন আরও বিপদে পড়ে গেলাম। আমরা এই প্রতারকদের বিচার চাই।’
কার্যালয় বানানোর জন্য বাড়ি ভাড়া দেওয়া লিংকন রায় বলেন, ‘কিছুদিন আগে ওই এনজিওর ম্যানেজার জুয়েল রানা আমার বাড়িটি ভাড়া নেয়। কিন্তু তাদের সঙ্গে চুক্তিপত্র হওয়ার আগেই তারা পালিয়েছে।’
এ বিষয়ে জানতে এনজিওটির ম্যানেজার জুয়েলের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল দিলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
যোগাযোগ করা হলে কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন বলেন, বিষয়টি নিয়ে গ্রাহকেরা অভিযোগ করেছেন। এ ব্যাপারে তদন্ত চলছে। দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ক্রাইম জোন ২৪