শিরোনাম
সাংবাদিক তুহিন হত্যার ফুটেজ দেখে চার আসামি গ্রেপ্তারইরানি নকশার ড্রোন হয়ে গেছে রাশিয়ার, ক্ষোভ বাড়ছে তেহরানেজাবিতে ছাত্রদলের হল কমিটিতে পদবঞ্চিতদের বিক্ষোভ মিছিলপূর্বশত্রুতার জেরে চালককে কুপিয়ে জখম, ইজিবাইকে আগুনমোহাম্মদপুরে দিনে-দুপুরে চাপাতি ঠেকিয়ে ৪১ হাজার টাকা ছিনতাইযারা একাত্তরে ফিরতে চায়, তারা চব্বিশ অস্বীকার করে: নাহিদপৃথিবীর প্রতিবেশে দৈত্যকার এক গ্যাস গ্রহ থাকার জোরালো ইঙ্গিতপ্রকাশ্যে সাংবাদিককে খুন, এ পরিবেশে নির্বাচন অসম্ভব: ফারুক হাসানজাবিতে ছাত্রদলের হল কমিটি ঘোষণা, বাগছাসের উদ্বেগ প্রকাশচবি স্টেশনে দোকান নিয়ে দ্বন্দ্বে আহত ৩, প্রধান ফটকে তালা

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় সাংবাদিক তুহিনের দাফন

ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ায় সাংবাদিক তুহিনের দাফন

দুর্বৃত্তদের হাতে নিহত সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনের (৩৮) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। আজ শুক্রবার সন্ধ্যার পর দ্বিতীয় জানাজা শেষে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামে বাড়ির পাশে সামাজিক কবরস্থানে তাঁকে দাফন করা হয়।

এর আগে গাজীপুর চৌরাস্তা এলাকায় বাদ জুমা তুহিনের প্রথম জানাজা হয়। পরে তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনেরা। এ সময় তাঁকে শেষবারের মতো দেখতে শোকাহত শত শত মানুষ ভিড় করেন।

ফুলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেন, মাগরিবের পর নিজের বাড়িতে দ্বিতীয় জানাজা শেষে তুহিনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এভাবে একজনকে কুপিয়ে হত্যা করা কোনোভাবেই কাম্য নয়। তুহিনেরা পাঁচ ভাই। তাঁরা প্রত্যেকে কাজের জন্য এলাকার বাইরে থাকেন। তাঁরা কেউ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নন। তুহিন খুব ভালো ছেলে ছিলেন। নিয়মিত মা-বাবার সেবা করতেন, খোঁজখবর নিতেন। তাঁর মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

এলাকার বাসিন্দা আকরাম হোসেন বলেন, তুহিন সাংবাদিকতা পেশায় খুব ভালো করেছিলেন। অল্প সময়েই তিনি বেশ নাম-ডাক অর্জন করেন। তুহিন মা-বাবার সংসারের হাল ধরেছিলেন। এখন তাঁর মা-বাবার পাশাপাশি স্ত্রী মুক্তা আক্তারও দুই শিশুসন্তান নিয়ে কষ্টে পড়ে যাবেন। সরকার যদি সহায়তা করে, তাহলে তুহিনের পরিবারের জন্য খুব ভালো হবে।

গতকাল বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে গাজীপুর নগরীর চান্দনা চৌরাস্তায় আসাদুজ্জামান তুহিনকে কুপিয়ে হত্যা করেন চিহ্নিত সন্ত্রাসী ও ছিনতাইকারী দলের সদস্যরা। তাঁরা দেশি অস্ত্র নিয়ে এক ব্যক্তিকে ধাওয়া করেছিলেন। সাংবাদিক আসাদুজ্জামান সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করছিলেন। তখন আসাদুজ্জামানকে ধাওয়া করে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

তুহিন ময়মনসিংহ জেলার ফুলবাড়িয়া উপজেলার ৬ নম্বর ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাটিপাড়া গ্রামের মো. হাসান জামাল ও সাবিহা খাতুন দম্পতির ছেলে। পাঁচ ভাই ও দুই বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। তুহিন-মুক্তা আক্তার দম্পতির দুটি শিশুসন্তান রয়েছে। বড় ছেলের নাম তৌকির (৭) ও ছোট ছেলের নাম ফাহিম (৩)।

আরও পড়ুন:



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button