শিরোনাম
গণ-অভ্যুত্থানকে কাঠামোগত রূপ দিতে ব্যর্থ রাজনৈতিক দল ও সরকার: যুব বাঙালিনির্বাচনের সময় ঘোষণা ছাড়া জাতির উদ্দেশে ভাষণে আরও যা বললেন প্রধান উপদেষ্টানির্বাচন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণাকে স্বাগত জানাল বিএনপিপ্রতিবাদের মুখে শিবিরের প্রদর্শনী থেকে সরানো হলো দণ্ডিত যুদ্ধাপরাধীদের ছবিসে আমার জীবন শেষ করেছে—কার কথা বললেন পুতিনের কথিত কন্যা‘আমরা চেয়েছি পদত্যাগ, আপনি করেছেন দেশত্যাগ’এশিয়া কাপে আফগানিস্তান দলে নেই বাংলাদেশের ‘আতঙ্ক’জুডিশিয়াল সার্ভিস পে-কমিশন পুনর্গঠনআন্দোলনে যারা রাস্তায় ছিল, তারাই জুলাইয়ের আসল মাস্টারমাইন্ড: প্রকাশনা উৎসবে বক্তারাপাকিস্তানের সিন্ধু নদ পানিশূন্য, বাস্তুচ্যুত ১২ লাখ মানুষ

বাগছাস নেতা রিয়াদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

বাগছাস নেতা রিয়াদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

রাজধানীর গুলশানে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদাবাজির দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দি দিয়েছেন বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্রসংসদের (বাগছাস) বহিষ্কৃত আহ্বায়ক সদস্য আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান ওরফে রিয়াদ। আজ রোববার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাত উল্লাহর কাছে তিনি ফৌজদার কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।

জবানবন্দি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমান আসামি রিয়াদসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অন্য তিন আসামি হলেন—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহীম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদমান সাদাব।

এর আগে গত ২৭ জুলাই এই চারজনকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছিল। আজ রিমান্ড শেষে তাঁদের আদালতে হাজির করা হলে পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান রিয়াদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করার আবেদন জানান এবং বাকি তিনজনকে কারাগারে রাখার আবেদন করেন।

গত ২৬ জুলাই বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে শাম্মী আহমেদের বাসায় ৫০ লাখ টাকা চাঁদার দাবি করতে গিয়ে হাতেনাতে গ্রেপ্তার হন পাঁচজন।

ওই দিন মধ্যরাতে গুলশান থানায় একটি মামলা দায়ের করেন শাম্মী আহমেদের স্বামী সিদ্দিক আবু জাফর। মামলায় ছয়জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

সিদ্দিক আবু জাফর তাঁর অভিযোগে উল্লেখ করেন, ১৭ জুলাই রিয়াদ ও কাজী গৌরব ওরফে অপু তাঁর বাসায় জোর করে ঢুকে ৫০ লাখ টাকা এবং স্বর্ণালংকার দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় তাঁকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। একপর্যায়ে তিনি তাঁদের নগদ ১০ লাখ টাকা দেন।

এর দুই দিন পর ১৯ জুলাই রিয়াদ ও অপু আবারও তাঁদের বাসায় গিয়ে বাকি ৪০ লাখ টাকা দিতে চাপ দেন। তখন পুলিশকে জানালে তাঁরা পালিয়ে যান। পরে ২৬ জুলাই রিয়াদের নেতৃত্বে কয়েকজন পুনরায় তাঁর বাসার সামনে এসে ৪০ লাখ টাকা দাবি করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রিয়াদসহ পাঁচজনকে আটক করে। তবে অপু পালিয়ে যান।

এই মামলায় গ্রেপ্তার পাঁচজনের মধ্যে একজনের বয়স ১৩ হওয়ায় তাঁকে কিশোর সংশোধনাগারে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া, এই মামলায় আসামি জানে আলম অপুকে গতকাল শনিবার চার দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button