মুন্সিগঞ্জে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার তরুণী কলেজছাত্রী, বাড়ি ভোলায়


সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার সেই তরুণীর বাড়ি ভোলা জেলায়। তিনি কলেজছাত্রী। বর্তমানে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নে নিজ বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাঁর বাবা মো. ফিরোজ হোসেন।
গতকাল শনিবার থেকে মেয়েটির ছবি ও তাঁর এনআইডি কার্ড ফেসবুকে পোস্ট করে তাতে লেখা হয়েছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ায় সজীব পাম্পসংলগ্ন এলাকা থেকে অচেতন অবস্থায় এক তরুণীকে উদ্ধার করেছেন স্থানীয়রা। তিনি ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের মেয়ে। অনেকেই এটি ফেসবুকে পোস্ট করে তরুণীর পরিবারের সন্ধান চেয়েছেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা মেয়েটিকে আজ রোববার সকালে ভোলায় নিজ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
মেয়েটির পরিবারের সদস্যরা জানান, তিনি ভোলার নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজে ডিগ্রির ছাত্রী (২১)। তাঁর ভাইয়ের বাসা ঢাকার যাত্রাবাড়ীতে। সেখানে বেড়াতে যান মেয়েটি। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হন।
মেয়েটির বাবা বলেন, ‘আমার মেয়ে ঢাকায় ছেলের বাসায় বেড়াতে যায়। সেখান থেকে মোটরসাইকেলে ঘুরতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। পরে পুলিশ উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখান থেকে আমার ছেলে গিয়ে তার বাসায় নিয়ে আসে। আজ রোববার সকালে মেয়েকে ভোলায় নিয়ে আসা হয়েছে। সে বর্তমানে বাসায় মোটামুটি সুস্থ আছে।’
আজ সকালে ভোলা সদর উপজেলার ধনিয়া ইউনিয়নের পশ্চিম ধনিয়া গ্রামে মেয়েটির বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, তিনি আহত অবস্থায় বিছানায় শুয়ে আছেন। ব্যথায় কাতরাচ্ছেন। কথা বলতে পরছেন না। তাঁর হাতে ও হাঁটুতে ক্ষতের চিহ্ন দেখা গেছে।
মেয়েটির মা বলেন, ‘আমার মেয়ে ঘুরতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়। অথচ ফেসবুকে অনেকে বিভিন্ন মন্তব্য করে পোস্ট দেয়। এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়। মেয়ে ঘুরতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়।’
তাঁর বড় বোন বলেন, ‘আমরা দুই বোন ও আমাদের এক ভাইসহ তিনজন শুক্রবার বেলা ১টার দিকে মোটরসাইকেলে ঘুরতে যাই। যাত্রাবাড়ী থেকে গজারিয়া ঘুরতে যাওয়ার সময় ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আমরা তিনজনই মোটরসাইকেল থেকে সটকে পড়ি। এর মধ্যে আমার বোন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে আমাদের দুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করে।’
মেয়েটির আরেক ভাই ভোলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে চাকরি করেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ওরা তিনজন সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হওয়ার পর পুলিশ তাঁদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে।