সালাম প্রসারে জান্নাত মিলে


মানুষের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধা-ভালোবাসা প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হলো সালাম। সালামের দ্বারা দূর হয় অহংকার, গড়ে উঠে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন। সালাম প্রসারে সুগম হয় জান্নাতের পথ। রাসুল (সা.) বলেন, ‘হে মানুষেরা! তোমরা বেশি বেশি সালামের প্রসার ঘটাও, মানুষকে খাবার খাওয়াও, আর যখন সকল মানুষ ঘুমিয়ে থাকে তখন নামাজ (তাহাজ্জুদ) পড়ো। তাহলে তোমরা নিরাপদে ও নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে।’ (তিরমিজি: ২৪৮৫)
অন্য হাদিসে বর্ণিত আছে, সালাম প্রসার জান্নাতকে আবশ্যক করে। আবু শুরাইহ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, আমাকে এমন একটা জিনিস (আমল) সম্পর্কে সংবাদ দেন যা আমার জন্য জান্নাতকে আবশ্যক করে।’ রাসুল (সা.) বলেন, ‘উত্তম কথা বলো, সালাম প্রসার করো এবং খাবার খাওয়াও।’ (সহিহুত্ তারগিব: ২৬৯৯)
পূর্ণ শব্দে সালাম প্রদানে অর্জিত হয় অজস্র নেকি। একবার এক ব্যক্তি এসে রাসুল (সা.)-কে সালাম দিল, ‘আসসালামু আলাইকুম।’ তখন রাসুল (সা.) বলেন, ‘আশারা (দশ)।’ অর্থাৎ সে দশ নেকি লাভ করেছে। আরেক ব্যক্তি এসে সালাম দিয়ে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।’ এবার রাসুল (সা.) বললেন, ‘ইশরুন (বিশ)।’ অর্থাৎ সে বিশ নেকি লাভ করেছে। আরেক ব্যক্তি এসে সালাম দিয়ে বলল, ‘আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।’ এবার রাসুল (সা.) বললেন, ‘সালাসুন (ত্রিশ)।’ অর্থাৎ সে ত্রিশ নেকি লাভ করেছে। (জামে তিরমিজি: ২৬৮৯)
সালাম বিধানগতভাবে সুন্নত হলেও তার উত্তর প্রদান করা আবশ্যক। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর যখন তোমাদের (সালামের দ্বারা) অভিবাদন করা হয়, তখন তোমরাও তা অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন করবে অথবা অনুরূপই করবে।’ (সুরা নিসা: ৮৬)
লেখক: শিক্ষক, ইসলামবিষয়ক গবেষক