ময়মনসিংহে পুরাকীর্তি সুরক্ষায় কমিটি গঠন


ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রাচীন পুরাকীর্তিসমূহ সুরক্ষার লক্ষ্যে নাগরিক দায়বদ্ধতা থেকে ‘পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল’ নামে একটি সংগঠনের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে নগরীর মালগুদাম এলাকায় এক আলোচনার মাধ্যমে ২৮ সদস্য নিয়ে এই কমিটি করা হয়। কমিটিতে ১০ জন সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, একজন সদস্যসচিব, ১৭ জন কার্যকরী সদস্য।
কমিটি ঘোষণাপূর্ব আলোচনায় বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহজাহানের সভাপতিত্বে এবং সংস্কৃতিজন ইমতিয়াজ আহমেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন পুরাকীর্তি বিশেষজ্ঞ স্বপন ধর, নাগরিক ব্যক্তিত্ব আব্দুল কাদের চৌধুরী মুন্না, কবি সরকার আজিজ, কবি আফতাফ আহমেদ মাহবুব, শিক্ষক মো. চাঁন মিয়া ফকির, সাবেক ছাত্রনেতা গোলাম ফারুক লিটন, সাংবাদিক শফিয়েল আলম সুমন, সংস্কৃতিজন মো. নুর আলী চিশতি, সংস্কৃতিজন মোহাম্মদ মাসুদ চিশতি, সংস্কৃতিজন মো. রেজাউল ইসলাম, ছাত্রনেতা মো. আরিফুল হাসান, ছাত্রনেতা তানজিল হোসেন মুনিম, ছাত্রনেতা চিত্রণ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
সভায় বক্তারা বলেন, পুরাকীর্তি জাতির ক্রমবিকাশের চাক্ষুষ ইতিহাস, যার মাধ্যমে প্রজন্ম জাতির ক্রমবিকাশের ইতিহাস সমন্ধে জ্ঞান লাভ করে। বাংলাদেশের রয়েছে পুরাকীর্তির ভান্ডার, যার একটি উল্লেখ্য ভান্ডার রয়েছে ময়মনসিংহ অঞ্চলে। কিন্তু দুঃখজনক সত্য হলো, যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে আজ অতিমূল্যবান পুরাকীর্তিসমূহের অবস্থা জীর্ণশীর্ণ।
সরকারিভাবে দৃশ্যমান কোনো যথাযথ তদারকি নেই বললেই চলে। অনেক পুরাকীর্তি সরকারি ও বেসরকারিভাবে বিলীন ও বেহাত হয়ে গেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে দিনে দিনে পুরাকীর্তির ভান্ডার কমে যাবে। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। তাই ময়মনসিংহ অঞ্চলের অতিমূল্যবান পুরাকীর্তিসমূহ রক্ষা করে প্রজন্মের সামনে দৃশ্যমান রাখার জন্য নাগরিক দায়বদ্ধতা থেকে ‘পুরাকীর্তি সুরক্ষা কমিটি, ময়মনসিংহ অঞ্চল’-এর আত্মপ্রকাশ ঘটেছে।
পুরাকীর্তি বিশেষজ্ঞ স্বপন ধর বলেন, দুই বছরের গবেষণায় জেলায় ৩২০টি পুরাকীর্তির তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে এ ক্যাটাগরির ৬টি বাড়ি, বি ক্যাটাগরি ৫৪টি এবং বাকিগুলো সি ক্যাটাগরিতে রয়েছে। তবে ৩২০টি পুরাকীর্তির মধ্যে ৪০টি বাড়ি পাওয়া যায়নি। এগুলো সংরক্ষণের জন্য আমরা সরকারকে বারবার তাগিদ দিচ্ছি।