শিরোনাম

সালিসে না ডাকায় নারীর শ্লীলতাহানি, অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

সালিসে না ডাকায় নারীর শ্লীলতাহানি, অভিযোগ ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পারিবারিক সালিশি সভায় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য (মেম্বার) মো. জাবেদকে না ডাকায় এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নারী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তথ্যটি বৃহস্পতিবার দুপুরে নিশ্চিত করেছেন, চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ হিলাল উদ্দিন আহাম্মেদ। ভুক্তভোগী নারী চিওড়া ইউনিয়নের নেতড়া গ্রামের বাসিন্দা।

অভিযোগে ওই নারী উল্লেখ করেন, মো. জাবেদ উপজেলা চিওড়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার। তিন মাস আগে জায়গা-সম্পত্তি নিয়ে তার (ভুক্তভোগী নারী) সন্তানদের সঙ্গে পারিবারিক কলহের সৃষ্টি হয়। বিষয়টি তিনি ইউপি সদস্য জাবেদকে অবগত করেন। বুধবার আত্মীয়স্বজনের অনুরোধে ওই নারী ও তাঁর স্বামী সন্তানদের নিয়ে পারিবারিক সালিশি সভায় বসে সমাধান করেন। এ সময় ইউপি সদস্য জাবেদকে ডাকা হয়নি। পরে বিষয়টি ইউপি সদস্য জাবেদ জানতে পেরে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই নারীকে গালমন্দ করতে থাকেন। এ সময় হাছিনা প্রতিবাদ করলে তাঁকে ঘুষি মেরে রক্তাক্ত জখম করেন।

অভিযোগে ভুক্তভোগী নারী আরও উল্লেখ করেন, জখমের কারণে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ইউপি সদস্য জাবেদ তার শ্লীলতাহানি করেন এবং গলায় থাকা ২ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন নিয়ে যান। এ সময় তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে ইউপি সদস্যের হাত থেকে তাঁকে রক্ষা করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা করান।

ওই নারীর ভাই বলেন, ‘ইউপি সদস্য জাবেদ এলাকায় সালিস-দরবারের নামে মানুষের থেকে টাকা-পয়সা আদায় করতেন। আমার বোনের পারিবারিক কলহের সালিশি সভায় তাঁকে না ডাকায় বোনকে মারধর ও শ্লীলতাহানি করেছেন।’

ইউপি সদস্য জাবেদ হোসেন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে একটি মহল ষড়যন্ত্র করছে। মারধর ও স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা সত্য নয়।’

চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হিলাল উদ্দিন আহাম্মদ বৃহস্পতিবার দুপুরে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ইউপি সদস্য জাবেদের বিরুদ্ধে এক নারীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগে ভুক্তভোগী ওই নারী থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে। তদন্ত সাপেক্ষে ইউপি সদস্য জাবেদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button