শিরোনাম
উচ্চকক্ষে পিআর, গোপন ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনজুলাই সনদ বাস্তবায়নে আইনি ভিত্তির দাবি এনসিপিরসরকার জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিতে গড়িমসি করলে বুঝতে হবে ‘কুচ কালা হ্যায়’: তাহেরসারা দেশে যৌথ বাহিনীর অভিযানে গ্রেপ্তার ২৮৮বিচারপতি খায়রুল হকের বিরুদ্ধে রায় জালিয়াতির মামলায় আরও দুটি ধারা সংযোজনএ যেন কল্পকাহিনী—৩০ বছর ধরে হিমায়িত ভ্রূণ থেকে জন্ম নিল মার্কিন শিশুজুলাই সনদকে গেজেট নোটিফিকেশন করার নতুন প্রস্তাব বিএনপিরজাতীয় সনদের দ্বিতীয় ধাপের আলোচনা শেষে ১৯ বিষয়ে ঐকমত্য: আলী রীয়াজবরিশালে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতাকে কুপিয়ে হত্যাইসরায়েলি অবরোধে গাজার ২৭ বছরের যুবকের মৃত্যু, অনাহারে ওজন নেমেছিল ১৫ কেজিতে

ব্রাহ্মণপাড়ায় পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে বাড়ছে পানি, আতঙ্কে নিম্নাঞ্চলের মানুষ

ব্রাহ্মণপাড়ায় পাহাড়ি ঢল ও বৃষ্টিতে বাড়ছে পানি, আতঙ্কে নিম্নাঞ্চলের মানুষ

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় খাল, বিল ও নদীতে পানি বাড়ছে। এতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের মানুষের মধ্যে বন্যা ও ফসলহানির শঙ্কা দেখা দিয়েছে। কোথাও কোথাও নিচু এলাকার পথঘাট ডুবে গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের বাগড়া, নাগাইশ, ছোট নাগাইশ, দেউশ, চৌব্বাস, সাজঘর, ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউনিয়নের নন্দীপাড়া, ধান্যদৌল, নাইঘর এবং চান্দলা ইউনিয়নের চারাধারিসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে পানি দুই থেকে তিন ফুট পর্যন্ত বেড়েছে। এতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।

নাগাইশ বারধার ব্রিজ এলাকার বাসিন্দা জাহান আরা বেগম বলেন, ‘প্রতিদিনই খাল ও বিলের পানি বাড়ছে। ধান্যদৌল-সেনেরবাজার সড়কের কয়েকটি জায়গা পানিতে তলিয়ে গেছে। আর একটু পানি বাড়লেই আমাদের বাড়িঘর ডুবে যাবে।’

একই এলাকার কৃষক আফাজ উল্লাহ বলেন, ‘খাল ও নদীর পানি দ্রুত বাড়তে থাকায় আবাদি জমির ফসল নষ্ট হওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে। আমরা এখনো গত বন্যার ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। এবারও যদি পানি ঢুকে পড়ে, তাহলে বড় বিপদে পড়ব।’

শশীদল ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান রিয়াদ বলেন, ‘ভারত থেকে আসা পাহাড়ি ঢলে সাময়িকভাবে পানি বেড়েছিল। তবে তা ধীরে ধীরে কমছে। আমরা খাল পরিষ্কার করে পানির প্রবাহ সচল রাখার চেষ্টা করছি। অতিরিক্ত বৃষ্টি না হলে আশঙ্কার কিছু নেই।’

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা জাহান আজকের পত্রিকাকে বলেন, উজান থেকে নেমে আসা স্রোত ও বৃষ্টিতে কিছু নিম্নাঞ্চলে পানি জমেছে। তবে বন্যার আশঙ্কা নেই। খাল ও জলাধারগুলোতে পানি চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রতিটি ইউনিয়নে দখলমুক্ত ও পরিষ্কার কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button