শিরোনাম

কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ, ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

নেত্রকোনায় কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণ ও আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ সোমবার জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক ড. এ কে এম এমদাদুল হক এ রায় দেন। একই সঙ্গে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

দণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন নেত্রকোনা সদরের ঠাকুরাকোনা গ্রামের কাজল চন্দ্র সরকারের ছেলে অপু চন্দ্র সরকার (২৭), আব্দুর গফুরের ছেলে মামুন (২৮) ও একই গ্রামের মৃত মিয়া চানের ছেলে সুলতান (৩০)।

ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. নূরুল কবীর রুবেল এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় ওই তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আর আত্মহত্যার প্ররোচনার ঘটনায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৩ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঠাকুরাকোনা রেললাইনের পাশে পরিবারের সঙ্গে বসবাসকারী কিশোরীকে ডেকে নিয়ে পাশের মাছের খামারের ঘরে দলবদ্ধ ধর্ষণ করেন ওই তিনজন।

পরিবারের সদস্যরা খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে খামার থেকে কিশোরীকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে যান। পরে আসামিরা বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য ভিকটিমের পরিবারকে হুমকি দেয়। ওই রাতেই লজ্জা ও ক্ষোভে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে কিশোরী। পরদিন সকালে তাঁর লাশ পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে উদ্ধার করা হয়।

এ ঘটনায় কিশোরীর মা বাদী হয়ে তিনজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা করলেও আসামিরা প্রভাবশালী হওয়ায় আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেয়। ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করতে বাধ্য করা হয়।

এতে এলাকাবাসী ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে আদালতের নির্দেশে ১০ সেপ্টেম্বর কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল প্রতিবেদন ও ময়নাতদন্ত করা হয়। এতে ধর্ষণের আলামত পাওয়া গেলে আসামি অপু ও মামুনকে ১২ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

তাঁদের দেওয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, অন্য আসামি খামার মালিক সুলতান মিয়াকেও গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলায় ওই তিনজনের বিরুদ্ধে ২০১৮ সালের ৫ এপ্রিল আদালতে পুলিশ চূড়ান্ত চার্জশিট দাখিল করে। ১৬ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ রায় দেন।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button