নতুন দুই হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো আমু ও গোলাপকে


বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন কেন্দ্রিক রাজধানীর মিরপুর ও ধানমন্ডি থানার পৃথক দুই হত্যা মামলায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমীর হোসেন আমু ও সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুস সোবহান গোলাপকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম মিয়া তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন।
আজ সোমবার দুজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্ত কর্মকর্তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে আদালত তাঁদের পৃথক আদেশে গ্রেপ্তার দেখানোর নির্দেশ দেন। পরে তাঁদের কারাগারে পাঠানো হয়।
আমুকে গ্রেপ্তার দেখানো মামলার সূত্রে জানা গেছে, বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব টেক্সটাইলের শিক্ষার্থী সুজন মাহমুদ বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৫ আগস্ট মিরপুর থানা এলাকায় অবস্থানকালে গুলিতে আহত হন। গুলি তাঁর মাথার ডান পাশ দিয়ে ঢুকে ভেতরে আটকে থাকে। পরে বিকেলে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের বড় ভাই সুলতান মাহমুদ গত বছরের ২৩ আগস্ট মিরপুর থানায় হত্যা মামলা করেন।
গোলাপকে গ্রেপ্তার দেখানো মামলার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ৪ আগস্ট ধানমন্ডির ঝিগাতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আন্দোলনে অংশ নেন আব্দুল্লাহ সিদ্দিকি। ওই দিন বিকেল পৌনে ৪টার দিকে গুলিতে আহত হন তিনি। হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর ধানমন্ডি থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। এ মামলায় গোলাপ ২৪ নম্বর এজাহারনামীয় আসামি।
গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর বিভিন্ন সময়ে এই দুই আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরে তাঁদের বিভিন্ন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।