শিরোনাম

আ.লীগ নেতা কাদের মির্জার সঙ্গেও রিয়াদ

আ.লীগ নেতা কাদের মির্জার সঙ্গেও রিয়াদ

গুলশানে সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির সময় গ্রেপ্তার আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদের সঙ্গে নোয়াখালীর আওয়ামী লীগের আবদুল কাদের মির্জার একটি ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘুরপাক খাচ্ছে।

ওই ছবিতে কাদের মির্জার পাশে তাঁকে ফুলের তোড়া হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। কাদের মির্জা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই ও বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র।

এর আগে গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) গুলশানে সংরক্ষিত আসনের সাবেক এমপি শাম্মী আহমেদের বাসায় সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির অভিযোগে রিয়াদসহ পাঁচজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

এর পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার উপদেষ্টা, জামায়াত, বিজেপিসহ জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে একাধিক ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার ব্যাপারী বাড়ির বাসিন্দা আবু রায়হানের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান রিয়াদ। ২০২০ থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের আগ পর্যন্ত কাদের মির্জার কাছে অবাধ যাতায়াত ছিল তাঁর।

পরবর্তীকালে ছাত্র সমন্বয়ক হয়ে তাঁকে আর পেছনে তাকাতে হয়নি। বদলাতে থাকে তাঁর জীবন-জীবিকা। সাধারণ পোশাকের জায়গায় চলে আসে দামি ব্র্যান্ডের শার্ট-প্যান্ট, পোশাক-আশাক। গ্রামের বাড়িতে চলছে দৃষ্টিনন্দন ডুপ্লেক্স বাড়ি নির্মাণের কাজ।

স্থানীয়রা রিয়াদের এ হঠাৎ উত্থান নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে সন্দেহ প্রকাশ করে আসছিলেন। তাঁদের ভাষ্যমতে, রিয়াদের আয়-উপার্জনের দৃশ্যমান কোনো উৎস ছিল না। অথচ খুব অল্প সময়েই বিত্তবৈভবে এলাকায় প্রভাবশালী হয়ে ওঠেন।

জানতে চাইলে রিয়াদের চাচা জসিম উদ্দিন জানান, তাঁর বড় ভাই ও বাবা দুজনই রিকশা চালাতেন। বাবা বয়সের কারণে এখন রিকশা চালান না। বড় ভাই আবু রায়হানও এখন রিকশা চালান না, তবে কৃষিকাজ করেন। গত দুই-আড়াই মাস আগে ভাতিজা রিয়াদ বাড়িতে পুরাতন ঘরের জায়গায় পাকা ভবন নির্মাণ শুরু করেন। গত সপ্তাহে ছাদের ঢালাই হয়েছে। বাড়িতে ওই ঘরের ভিটি ছাড়া তাঁর ভাইয়ের অন্য কোনো জায়গা নেই।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button