বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় বাদে সব কমিটি স্থগিত


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি বাদে সারা দেশের সব উপ ও শাখা কমিটি অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। চাঁদাবাজির অভিযোগে কয়েকজন নেতা-কর্মীর গ্রেপ্তার ইস্যুতে আজ রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। সাবেক সমন্বয়ক ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রিফাত রশিদ এ ঘোষণা দেন।
বিতর্কের কেন্দ্রে রয়েছেন সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক (বহিষ্কৃত) আব্দুর রাজ্জাক (রিয়াদ)। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গত ১৭ জুলাই তিনি ও কাজী গৌরব অপু গুলশানে সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে হুমকি দিয়ে ৫০ লাখ টাকা দাবি করেন। একপর্যায়ে বাদী সিদ্দিক আবু জাফর ১০ লাখ টাকা দিতে বাধ্য হন বলে এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
গুলশান থানায় দায়ের করা মামলায় পুলিশ রিয়াদসহ চারজনকে ৭ দিনের রিমান্ডে নিয়েছে। অন্য অভিযুক্তরা হলেন— সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব ও মো. ইব্রাহিম হোসেন। মামলার আরেক আসামি অপ্রাপ্তবয়স্ক।
রিফাত রশিদের ভাষ্য অনুযায়ী, ‘বৈষম্যবিরোধী ব্যানারকে পরাজিত রাজনৈতিক শক্তি ও কিছু বিপথগামী ব্যক্তি ব্যবহার করে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এই প্ল্যাটফর্মের ভাবমূর্তি রক্ষায় কঠোর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি আমরা।’
সংবাদ সম্মেলনে রিফাত রশিদ বলেন, গতকালসহ বিগত দিনগুলোর বেশ কয়েকটি ঘটনায় আমরা দেখেছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারকে ব্যবহার করে অনেক ধরনের অপকর্ম করার চেষ্টা করা হয়েছে এবং হচ্ছে। কমিটির আত্মপ্রকাশের দিনই আমরা সতর্ক করে দিয়েছিলাম যে, এ ধরনের অপকর্ম বরদাশত করা হবে না। এরপরও বিভিন্ন মহল ও রাজনৈতিক দলগুলোর শেল্টারে অপকর্ম চলছে। এ ছাড়া দেখা যাচ্ছে, জুলাই যোদ্ধাদের কেউ কেউ বিপথগামী হয়েছে। এই মুহূর্তে বিষয়টি ভিজিবলি নিয়ন্ত্রণ করা আমাদের পক্ষে প্রায় অসম্ভব। তাই অর্গানোগ্রামের জরুরি মিটিংয়ে উপস্থিত চারজন সম্মিলিতভাবে একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তা হলো— বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটি ছাড়া সারা দেশে সব কমিটির কার্যক্রম আজ (২৭ জুলাই) থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত করা হলো।
রিফাত রশিদ আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশে বলছি, আজকের এই প্রেস কনফারেন্সের পর থেকে সারা দেশে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে যে বা যারা কোনো ধরনের অপকর্ম করার চেষ্টা করবে তাদের বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেবেন। এ বিষয়ে আমাদের সহযোগিতা চাইলে আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে সার্বিক সহযোগিতা করব।
তিনি আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন আগামীতে কীভাবে পরিচালিত হবে সে বিষয়ে শিগগিরই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।