জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে কুতুবদিয়ার বিভিন্ন এলাকা


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপ ও অমাবস্যার প্রভাবে বাতাসের তীব্রতায় জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে নিম্নচাপের প্রভাবে সাগরে জোয়ারের পানি বাড়তে থাকে। ফলে কুতুবদিয়া দ্বীপের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন এলাকাগুলোতে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে। ওই সব এলাকায় দুশতাধিক বসতঘর আজ রোববার দুপুরেও পানিবন্দি রয়েছে।
জানা গেছে, বেড়িবাঁধ না থাকায় বঙ্গোপসাগরে অস্বাভাবিক জোয়ারের পানিতে কুতুবদিয়ার আলী আকবর ডেইল ইউনিয়নের বায়ু বিদ্যুৎ এলাকা, তাবেলারচর, সাইট পাড়া, কাজির পাড়া, তেলিপাড়া, জেলে পাড়া, আনিচের ডেইল এলাকা, বড়ঘোপ ইউনিয়নের রোমাইপাড়া, সাইড পাড়া, উত্তর বড়ঘোপ, কৈয়ারবিল ইউনিয়নের ঘিলাছড়ি, মধ্যম কৈয়ারবিল, উত্তর কৈয়ারবিল, দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের বাতিঘর পাড়া, উত্তর ধূরুং ইউনিয়নের মিয়ারাকাটাসহ বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়।

এছাড়া বেড়িবাঁধ এবং জিও ব্যাগ না থাকায় উপজেলার কৈয়ারবিল, বড়ঘোপ, আলী আকবর ডেইল, ইউনিয়নের কয়েকটি পয়েন্ট বেশ কিছু বসতঘর মসজিদ এবং মাদ্রাসা, মাছের ঘের, রাস্তাঘাট প্লাবিত হয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, জরুরি ভিত্তিতে চলমান বেড়িবাঁধ মেরামতের কাজ সঠিক সময়ে না হওয়ায় অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে সাগরের লোনা পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে চাষাবাদসহ বাড়িঘর তলিয়ে যায়। স্থানীয় প্রভাবশালীরা ঠিকাদারি কাজে নিয়োজিত থাকায় মেরামত কাজে অনিয়ম হয় বলে অভিযোগ করেন।
আলী আকবর ডেইল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আকতার কামাল সিকদার বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের অবহেলার কারণে এই অবনতি ঘটেছে। তিনি দ্রুত বেড়িবাঁধ মেরামত করার দাবি জানান।
কুতুবদিয়া আবহাওয়া পূর্বাভাস কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক হুমায়ুন কবির জানান, নিম্নচাপ ও অমাবস্যার কারণে কুতুবদিয়ার নিম্নাঞ্চল ও চরসমূহ ১-৩ ফুট উচ্চতায় বাতাসের তীব্রতায় জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। শনিবার সকালে সমুদ্র বন্দর সমূহকে সংকেত নামিয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী-প্রকৌশলী এলটন চাকমা জানান, কুতুবদিয়ার ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ মেরামতের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। দ্রুত জিও ব্যাগের মাধ্যমে জোয়ারের পানি ঠেকাতে ব্যবস্থা নেয়ার আলোচনা চলতেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ক্যথোয়াইপ্রু মারমা জানান, কুতুবদিয়ায় যেসব এলাকায় বেড়িবাঁধ ভাঙ্গা রয়েছে সেসব এলাকায় সাগরে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় লোনা পানিতে প্লাবিত হয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলাপ করে দ্রুত ভাঙ্গা বেড়িবাঁধ মেরামত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে।