মাইলস্টোন ট্রাজেডি: আয়া মাসুমাকে ভোলায় দাফন


রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তে দগ্ধ হয়ে মারা যাওয়া আয়া মাসুমা বেগমকে ভোলার বোরহানউদ্দিনে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। আজ রোববার (২৭ জুলাই) সকাল সাড়ে ৯টায় নিজ এলাকায় তাঁর জানাজা শেষে বোরহানউদ্দিন উপজেলার বড় মানিকা ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডে দাফন সম্পন্ন হয়।
এর আগে এ দিন ভোরে ঢাকা থেকে মাসুমার মরদেহ পৌঁছায় গ্রামের বাড়িতে। এ সময় আত্মীয়স্বজন ও এলাকাবাসীর ঢল নামে। সেখানে হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয় এবং গ্রামে শোকের ছায়া নেমে আসে।
মাসুমার জানাজায় অংশগ্রহণ করে বোরহানউদ্দিন উপজেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান-উজ্জামান বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে শোকাহত। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁকে পরপারে ভালো রাখুক। উপজেলা প্রশাসন নিহত মাসুমার পরিবারের পাশে আছে। সরকারের পক্ষ থেকে সব রকম সরকারি সহায়তা তার পরিবারকে দেওয়া হবে। তাদের যে কোনো বিপদে উপজেলা প্রশাসন সব সময় পাশে থাকবে।’
জানা গেছে, গতকাল শনিবার (২৬ জুলাই) সকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মৃত্যু হয় মাসুমার।
মাসুমা মাইলস্টোন স্কুলে আয়া হিসেবে কর্মরত ছিলেন। স্বামী মো. সেলিম রাজধানীর একটি বায়িং হাউজে ড্রাইভার হিসেবে কাজ করেন। ঢাকার তুরাগ নয়ানগর শুক্রভাঙ্গা এলাকায় স্বামী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে বসবাস করতেন তিনি।
মাসুমার স্বামী সেলিম বলেন, ‘ঘটনার দিন মাসুমা স্কুলে কর্মরত ছিলেন। পরে আগুন লাগার খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি তাঁর শরীরের ৯০ শতাংশ পুড়ে গেছে।’ তিনি বলেন, ‘আমার ছোট ছোট দু’টি সন্তান রয়েছে, যাদের মুখের দিকে তাকিয়ে আমি শোকে স্তব্ধ হয়ে যাই। আল্লাহর কাছে দোয়া করেছিলাম বাচ্চাদের জন্য হলেও যেন আল্লাহ আমার স্ত্রীকে ফিরিয়ে দেন। কিন্তু সে আমাকে রেখে চলে গেল। সবাই তার জন্য দোয়া করবেন, আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।’