নিম্নচাপের প্রভাবে উত্তাল সাগর, সেন্ট মার্টিনে নৌচলাচল বন্ধ


বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল উত্তাল হয়ে উঠেছে। আজ শুক্রবার সাগরে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের চেয়ে ৪ থেকে ৫ ফুট উচ্চতায় তীরে আছড়ে পড়ছে। ফলে সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সতর্কতা অবলম্বন করতে বলছে জেলা প্রশাসন।
সকাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্র উপকূল ও আশপাশ এলাকায় দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। সারা দিন আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। একই সঙ্গে হালকা ও গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিসের সহকারী আবহাওয়াবিদ আবদুল হান্নান জানান, কক্সবাজারসহ দেশের চার সমুদ্রবন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগরে বায়ুচাপের তারতম্যের আধিক্য বিরাজ করছে।
জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন বলেন, সাগর উত্তাল থাকায় কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সতর্ক করা হয়েছে। সৈকতে লাল নিশানা ওড়ানো হচ্ছে। উত্তাল সাগরে গোসলে নামতে পর্যটকদের নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে।
বেলাল হোসেন আরও বলেন, সৈকতে পর্যটকদের হাঁটুপানির নিচে নামতে নিষেধ করা হয়েছে। ঝুঁকি চিহ্নিত এলাকায় গোসল থেকেও বিরত থাকতে অনুরোধ করা হচ্ছে। বিচ কর্মীদের পাশাপাশি সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে কলাতলী পর্যন্ত ট্যুরিস্ট পুলিশ ও লাইফগার্ড কর্মীরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় সতর্ক রয়েছেন।
এদিকে সাগর উত্তাল থাকায় টেকনাফের সঙ্গে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের নৌচলাচল বন্ধ রাখতে বলেছে উপজেলা প্রশাসন। মহেশখালী ও কুতুবদিয়া দ্বীপের সঙ্গে নৌচলাচলে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। আবহাওয়া অফিস বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে দ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলেছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, অমাবস্যা ও নিম্নচাপের প্রভাবে কক্সবাজারসহ উপকূলীয় জেলা ১ থেকে ৩ ফুট উচ্চতায় বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।
এ ছাড়া আবহাওয়া অধিদপ্তর চট্টগ্রামসহ তিন বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে। আগামী দুই দিন এই পরিস্থিতি থাকতে পারে। এ সময়ে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও তিন পার্বত্য জেলায় পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে।