উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ ১০ জন কারাগারে


সিলেটের জৈন্তাপুরের হরিপুরে সেনাসদস্যদের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় উপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ ১০ জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ রোববার সকালে সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে আসামিরা জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক শেখ আশফাকুর রহমান তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আশিক উদ্দিন। তিনি বলেন, চোরাচালানে বাধা দেওয়ায় সেনাবাহিনীর ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুরের মামলায় এর আগে আসামিরা হাইকোর্ট থেকে অন্তর্বর্তী জামিনে ছিলেন। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী তাঁরা সিলেট জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে তাঁদের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এর আগে গত ২৭ মার্চ দিবাগত রাত ১২টার দিকে জৈন্তাপুর উপজেলার হরিপুর বাজার এলাকায় সেনাবাহিনীর একটি টহল দল ভারতীয় চোরাই মহিষ জব্দ করে ক্যাম্পে নিয়ে যাচ্ছিল। পথে একদল চোরাকারবারি পূর্বপরিকল্পিতভাবে সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে। এতে কয়েকজন সেনাসদস্য আহত হন এবং তাঁদের বহনকারী গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। ঘটনার পরদিন ফতেহপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আব্দুল মতিন বাদী হয়ে জৈন্তাপুর মডেল থানায় ৭০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। মামলাটি প্রথমে থানা-পুলিশ তদন্ত করলেও বর্তমানে সিলেট জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) ন্যস্ত করা হয়।
সিলেট জেলা পুলিশের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক জমসেদ আহমদ জানান, কারাগারে পাঠানো আসামিরা হলেন জৈন্তাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও উপর শ্যামপুর এলাকার আব্দুর রশীদ, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও চানঘাট এলাকার ফারুক আহমদ, হরিপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাবেক সভাপতি ও দলইপাড়া গ্রামের মো. আব্দুল্লাহ, মুতলিব, উত্তর বাঘেরখালেট এলাকার আজিজুর রহমান, ফখরুল ইসলাম, লামা শ্যামপুরের আমির উদ্দীন, মাসুক, উপর শ্যামপুরের জহির উদ্দিন ও ইসমাইল আলী।
জানতে চাইলে সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দলীয় নেতারা গ্রেপ্তার হওয়ার বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলাপ-আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’