শিরোনাম
এক রাতে ৪৭৭ ড্রোন ও ৬০ ক্ষেপণাস্ত্র, রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা ইউক্রেনে২০ হাজার ধারণক্ষমতার রিসোর্ট চালু করল উত্তর কোরিয়া, কিন্তু কার জন্যবিমানবন্দরে ব্যাগের মধ্যে গুলির ম্যাগাজিন, যে ব্যাখ্যা দিলেন উপদেষ্টা আসিফব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকের পর এনবিআর কর্মকর্তাদের আন্দোলন প্রত্যাহারএনসিপি বরিশাল জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী, মির্জা তামিম হাসান এর নেতৃত্বে উঠান বৈঠক অনুষ্ঠিত ।এবার খুলনার জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি শিক্ষার্থীদেরউপজেলা বিএনপির সভাপতিসহ ১০ জন কারাগারেরুশ ও মার্কিন গোয়েন্দাপ্রধানদের মধ্যে চুক্তি যেকোনো সময়বাহরাইনকে ৭ গোল দিয়ে বাংলাদেশের দুর্দান্ত শুরুভুঁইফোড় নয়, দলে স্থান পাবেন ত্যাগী নেতা-কর্মীরা: রেজাউল করিম বাদশা

পুলিশের দাবি ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়, পারিবারিক

পুলিশের দাবি ঘটনাটি রাজনৈতিক নয়, পারিবারিক

পটুয়াখালীতে রাতের আঁধারে এক তরুণীকে হাত-পা বেঁধে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে। এ সময় কেঁদে কেঁদে ওই তরুণী বলছিলেন, ‘আমারে বাঁচা, বাঁচা আমারে, আমারে একটু বাঁচা।’

রাঙ্গাবালী উপজেলার মৌডুবি ইউনিয়নের মাঝের দেওর গ্রামে গতকাল শনিবার মধ্যরাতে ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ বলছে, এটি রাজনৈতিক নয়, পারিবারিক ঘটনা।

গতকাল রাত দেড়টার দিকে ভিডিওটি ফেসবুকে প্রকাশ করেন মাঝের দেওর গ্রামের মৃত কাসেম গাজীর ছেলে কামাল গাজী। ক্যাপশনে তিনি দাবি করেন, ভিডিওতে যাঁকে তুলে নেওয়া হচ্ছে তিনি তাঁর স্ত্রী।

কামাল লেখেন, ‘আমার বাড়িতে গিয়ে আমার কলিজা বউকে এভাবে মারতে মারতে হাত-পা বেঁধে নিয়ে গেছে একটু আগে। দেশবাসীর কাছে সহযোগিতা কামনা করছি। আমার কলিজাটাকে বাঁচান।’

এর আগে এই ঘটনায় বিএনপির লোকজনকে দায়ী করে আরেকটি পোস্ট দেন কামাল। যে কারণে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয় এবং ঘটনাটি রাজনৈতিক বিষয় হিসেবে মোড় নিচ্ছিল। পরে এটি পারিবারিক বিষয় হিসেবে জানাজানি হলে সেই পোস্ট মুছে দেন কামাল।

পুলিশ জানিয়েছে, ভিডিওতে দেখা যাওয়া নারীর নাম উম্মে সুলতানা তন্বী। তিনি একই ইউনিয়নের বাইলাবুনিয়া গ্রামের শাখাওয়াত হাওলাদারের মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কামাল এবং তন্বীর পরিবার দুই মেরুর রাজনীতি করে। তন্বীর পরিবারের সদস্যরা স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত আর কামাল নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের রাঙ্গাবালী উপজেলা শাখার সহসভাপতি।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এমারৎ হোসেন বলেন, ‘তদন্তে জানা গেছে, কামাল গাজীর সঙ্গে ওই মেয়ের নাকি গোপনে বিয়ে হয়েছে। প্রেমের সম্পর্ক থেকে এই বিয়ে হয়েছে, এমনটা শোনা যাচ্ছে। তবে বিয়ের কোনো ডকুমেন্টস পাওয়া যাচ্ছে না। প্রায় এক সপ্তাহ আগে থেকে তন্বী স্বেচ্ছায় কামালের বাড়িতে এসে অবস্থান করছিলেন। তবে ৫ আগস্টের পর কামাল নিজেই এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে। শনিবার রাতে তন্বীকে তাঁর বাবা শাখাওয়াতসহ পরিবারের কয়েকজন সদস্য জোরপূর্বক নিয়ে যান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন তন্বীর চাচা ছাত্তার হাওলাদার, মামা জাহিদসহ আরও কয়েকজন। এ ছাড়া স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে জড়িত লিটু গাজী, মোহসীন হাওলাদার, এরশাদ ও ইউপি সদস্য ইলিয়াস গাজী ছিলেন।’

ওসি এমারৎ আরও বলেন, ‘এটি কোনো রাজনৈতিক ইস্যু নয়, পারিবারিক ঘটনা। এখনো কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

এদিকে আজ রোববার সকালে ফেসবুকে আরেকটি পোস্ট দিয়ে কামাল অভিযোগ করেছেন, এখন পর্যন্ত তিনি কোনো সহযোগিতা পাননি। রাতে তাঁর বাড়িতে গিয়ে যাঁরা তাঁর মা-বোনকে মারধর করে তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে গেছেন, তাঁদের পরিচয় তিনি জানিয়েছেন। তাঁরা হলেন শাখাওয়াত, ছাত্তার ও এরশাদ।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button