শিরোনাম
বেসরকারি আর্থিকপ্রতিষ্ঠানে চাকরি, কর্মস্থল ঢাকাভারতে রথযাত্রায় পদপিষ্ট হয়ে ২ নারী ও এক বৃদ্ধের মৃত্যু, আহত ৫০মতলব উত্তরে পরীক্ষার্থীদের পাশে ছেংগারচর ছাত্রদলদোহারে পরীক্ষার্থীদের সহায়তায় ছাত্রশিবিরের হেল্প ডেস্কআশাব্যঞ্জক অগ্রগতির ক্ষেত্রে আমরা খানিকটা পিছিয়ে আছি: আলী রীয়াজবিমানবন্দরের প্রকল্পে ‘অসম’ চুক্তি, স্বার্থের সংঘাতে জড়িয়েছেন ঢাকায় ইউএই রাষ্ট্রদূতশাটডাউন কর্মসূচিতে অচল এনবিআর, ফটকে অবস্থান কর্মকর্তা-কর্মচারীদেরমিয়ানমারের জান্তাকে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দিয়েছে বেলারুশ: অধিকার গোষ্ঠীযুক্তরাষ্ট্রের ‘তামাশা’ দেখে ক্ষুব্ধ চেলসি কোচ১৫ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি মূল আসামিরা, উৎকণ্ঠায় পরিবার

১৫ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি মূল আসামিরা, উৎকণ্ঠায় পরিবার

১৫ দিনেও গ্রেপ্তার হয়নি মূল আসামিরা, উৎকণ্ঠায় পরিবার

নাটোরের বড়াইগ্রামে কৃষক রওশন আলী শেখ হত্যা মামলার ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও এজাহারভুক্ত মূল আসামিদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এতে হতাশ ও ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে নিহতের পরিবার ও এলাকাবাসী। প্রভাবশালী আসামিদের চাপ ও হুমকির কারণে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটছে মামলার বাদীসহ স্বজনদের।

মামলা সূত্র ও ভুক্তভোগী পরিবার জানায়, গত ১১ জুন রাতে বড়াইগ্রামের জোনাইল ইউনিয়নের দিঘইর দেশপাড়া গ্রামে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদের ছেলে সোহেল রানা পুটুর নেতৃত্বে একদল দুর্বৃত্ত রওশন আলীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে ১৪ জুন নাটোর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

ঘটনার পরদিন নিহতের ভাতিজা আরিফুল ইসলাম বড়াইগ্রাম থানায় একটি হত্যাচেষ্টার মামলা করেন। এতে ইউপি চেয়ারম্যান আজাদ, তাঁর ছেলে সোহেল রানা পুটুসহ কয়েকজনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়। পরে রওশন আলীর মৃত্যু হলে মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয়। তবে ১৫ দিন পেরিয়ে গেলেও মামলার মূল আসামিদের কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। এখন পর্যন্ত শুধু বজলুর রহমান নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

নিহতের স্ত্রী রেজিয়া বেগম বলেন, ‘আমরা গরিব মানুষ। আমাদের কোনো প্রভাব নেই, টাকা-পয়সাও নেই। তাই এখনো আমার স্বামীর হত্যাকারীরা ধরা পড়েনি। উল্টো মামলা তুলে নিতে চেয়ারম্যানের লোকজন আমাদের হুমকি দিচ্ছে।’

ছেলে জিয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘চেয়ারম্যানপন্থী নয়ন আলী, সনি আলী, মিঠু আলী, কালু হোসেন, মকুল হোসেন, আলতাব হোসেন ও জিহাদ আলী আমাদের মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে। না মানলে বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়ার হুমকি দিচ্ছে।’

মামলার বাদী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা এখনো মূল আসামিদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এতে আমরা হতাশ, আতঙ্কে আছি। পরিবারের লোকজন দিনরাত চরম উৎকণ্ঠায় কাটাচ্ছে।’

এ বিষয়ে বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম সারোয়ার হোসেন বলেন, ‘মূল আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে। আমরা আশাবাদী, শিগগিরই আসামিদের আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button