ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন


বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে ফেমাস ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের অবহেলায় টফি বেগম (৩২) নামের এক প্রসূতি মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। টফি বেগম উপজেলার সান্তাহার পৌরসভার পৌঁওতা টিকড়ী গ্রামের আব্দুল মান্নানের স্ত্রী। গতকাল শুক্রবার রাতে সান্তাহার পৌর শহরের নওগাঁ রোডে ফেমাস ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এই ঘটনা ঘটে।
শনিবার (২৮ জুন) সন্ধ্যায় আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করেন।
এদিকে ঘটনার পর থেকে ওই ক্লিনিকে তালা ঝুলিয়ে চিকিৎসকসহ কর্তৃপক্ষ তাদের মোবাইল ফোন বন্ধ করে গা ঢাকা দিয়েছে। ফলে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার সকালে প্রসূতি নারী টফি বেগমকে সান্তাহার ফেমাস ক্লিনিক অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। এর পর থেকে কয়েক ঘণ্টা তাঁকে চিকিৎসাসেবা দিচ্ছিলেন ক্লিনিকের দায়িত্বরত চিকিৎসকেরা। সন্ধ্যার পর হঠাৎ টফি বেগমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে নওগাঁ জেলা সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। নওগাঁয় নেওয়ার পথে রাস্তায় তিনি মারা যান। টফি বেগমের প্রতিবেশী মোজাম্মেল হক বলেন, ক্লিনিকের দায়িত্বরত ব্যক্তিদের অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু হয়।
প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে তাঁর আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় লোকজন ক্লিনিকের সামনে সমবেত হয়ে হট্টগোল শুরু করেন। তাঁরা ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করেন।
এ সময় সান্তাহার ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়।
আদমদীঘি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, কোনো অভিযোগ না থাকায় ওই প্রসূতির মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আদমদীঘি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ফজলে রাব্বি বলেন, ক্লিনিকের কাগজপত্র বৈধ। স্থানান্তরের পর নওগাঁ নেওয়ার পথে রোগী মারা যান। বাদী না থাকায় তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিল করার জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি টিম গঠন করা হয়েছে।