শিরোনাম

লা লিগায় ইয়ামাল-মাস্তানতুয়োনো দ্বৈরথ!

লা লিগায় ইয়ামাল-মাস্তানতুয়োনো দ্বৈরথ!

কারও খেলা যদি ভালো লেগে যায় রিয়াল সভাপতি ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের, আর তাঁর দলে সেই খেলোয়াড়ের ভালো সম্ভাবনা থাকে, তাহলে টাকা কোনো ব্যাপার না। তাঁকে কিনেই ছাড়বে রিয়াল। ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে দারুণ খেলা হামেস রদ্রিগেজকে বিশ্বকাপ শেষে দলে ভিড়িয়েছিল রিয়াল।

চাইলে এমন অনেক উদাহরণ দাঁড় করানো যায়। টাকা দিয়ে কি সবকিছু কেনা যায়! চাইলেও কি একজন লামিনে ইয়ামালের মতো উইঙ্গারকে কিনতে পারবে রিয়াল?

প্রশ্নটা যদি রবার্ট লেভানডফস্কিকে করা হয়, তাহলে উত্তর আসবে ‘না’। বার্সেলোনার পোলিশ এই স্ট্রাইকারের উত্তর, ইয়ামালের মতো কাউকে খুঁজে পাওয়া রিয়ালের জন্য অসম্ভব। কেন অসম্ভব? সে ব্যাখ্যাও দিয়েছেন লেভানডফস্কি, ‘ইয়ামালের মতো প্রতিভাদের খুঁজে বের করা যায় না। প্রতিটি শহরে প্রতিবছর এই ধরনের খেলোয়াড়েরা জন্মায় না। ১০ বছরে হয়তো একবারই এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়। লিওনেল মেসি কিংবা রোনালদোর মতো তারা ভিন্ন ধাঁচে গড়া ফুটবলার।’

তবে এমন প্রতিভাবানদের হন্যে হয়ে খুঁজতে অভ্যস্ত রিয়াল। বার্সেলোনার লামিনের আত্মপ্রকাশের পর তাঁর মতো একজনকেই হন্য হয়ে খুঁজেছে রিয়াল। রিভার প্লেট থেকে রিয়াল নিয়ে এল ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোকে, সেটা রিয়াল করেছে ইয়ামালের মতো কাউকে দলে ভেড়ানোর একটা চাপ থেকে।

লেভানডফস্কির ভাষায়, ‘লামিনের মতো অবশ্যই কাউকে খুঁজে বের করার চাপে রয়েছে তারা (রিয়াল)। তবে আমার মতে, সেটা অসম্ভব, বরং নিজেদের মতো পথ বেছে নিলে বেশি ভালো হয়। অবশ্যই সমর্থকদের দিক থেকে প্রত্যাশা থাকবে যেন লামিনের মতো কাউকে তারা বের করতে পারে।’

গত জুনে মাস্তানতুয়োনোর সঙ্গে ছয় বছরের চুক্তি করলেও আঠারো পূর্ণ হওয়ার বাকি ছিল তাঁর। গত পরশু আঠারোয় পা দিয়েছেন তিনি। তাই রিয়ালের হয়ে লা লিগা শুরু করতে এখন তাঁর সামনে আর কোনো বাধা নেই। উল্টো রিয়ালে এসে মাস্তানতুয়োনো পেয়েছেন পছন্দের ৩০ নম্বর জার্সি। তাঁর প্রিয় ও সেরা খেলোয়াড় লিওনেল মেসি। বার্সেলোনা থেকে পিএসজিতে গিয়ে মেসি পরেছিলেন ৩০ নম্বর জার্সি। পরশু ৩০ নম্বর জার্সি হাতে পরিচয় করিয়ে দেওয়া হয় আর্জেন্টাইন ফুটবলারকে। তাঁকে ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে বিশ্ব ফুটবলে অন্যতম সেরা প্রতিভা’ হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেন ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ। যে বিশ্বাস নিয়ে তাঁকে উড়িয়ে এনেছে রিয়াল, সেটির প্রতিদান মাস্তানতুয়োনো দিতে পারবেন তো!

কে এগিয়ে, ইয়ামাল না মাস্তানতুয়োনো

লামিনে ইয়ামালের গতি অনেক বেশি। বল নিয়ে দ্রুত আক্রমণে উঠতে পারেন। ড্রিবলিংয়েও অপ্রতিরোধ্য। মাঝারি দূরত্বের শট তাঁর অন্যতম অস্ত্র। তাঁর বাঁ পা অনেক বেশি নিখুঁত। কম জায়গায় দ্রুত শট নেওয়ার ক্ষেত্রে ইয়ামালের জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু ফ্রাঙ্কো মাস্তানতুয়োনোর শট নিতে যেমন বেশি জায়গা লাগে, তেমনি তিনি সময়ও নেন বেশি। তবে ফ্রি-কিক ও সেট পিসে মাস্তানতুয়োনো বেশি পরিশীলিত।

১৭ বছর বয়সে লামিনে ইয়ামাল গত মৌসুমের লা লিগায় বার্সার ২২টি গোলে অবদান রেখেছেন। ৯টি গোল করেছেন, ১৩ টিতে অ্যাসিস্ট। মাস্তানতুয়োনোও কি প্রথম সুযোগে লা লিগার মঞ্চে নিজেকে মেলে ধরতে পারবেন? সেটি অবশ্য সহজ হবে না। এক মাসের বেশি সময় ধরে তিনি ম্যাচে ছিলেন না। ছিলেন না প্রাক্-মৌসুম দলের প্রস্তুতিতেও। তা ছাড়া নতুন কোচ জাবি আলোনসোর অধীনে রিয়াল যখন গুছিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে, তখনই তিনি যোগ দিচ্ছেন রিয়ালে। তবে ১৭ বছর বয়সেও তিনি রিভার প্লেটের মতো দলে খেলেছেন; খেলেছেন আর্জেন্টিনার জাতীয় দলেও। তাঁর মধ্যে এমন কিছু রয়েছে যে সেটি দেখে তাঁকে দলে ভিড়িয়েছে রিয়াল।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button