উত্তরায় দুই ছাত্র এইচএসসি পরীক্ষা দিতে না পারার দায় স্বীকার করলেন প্রধান শিক্ষিকা


প্রতিষ্ঠানের ভুলে দুই ছাত্র এইচএসসি পরীক্ষা দিতে না পারার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে দায় স্বীকার করেছেন উত্তরা হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রধান শিক্ষক ইভানা তালুকদার। উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ওই প্রতিষ্ঠানে আজ শনিবার (২৮ জুন) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের তিনি এ দায় স্বীকার করেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি পুরো দোষ চাপিয়ে দিয়েছেন কলেজের মানবিক বিভাগের শিক্ষক ড. আমিনুর রহমানের বিরুদ্ধে।
সংবাদ সম্মেলনে ইভানা তালুকদার বলেন, ‘প্রশাসনিকভাবে, হ্যাঁ আমার দায় আছে, ঠিক আছে। কিন্তু দায়িত্বটা আমার ক্লাস টিচারের। আমিনুর রহমানের সেকশনে ৮৫ জন শিক্ষার্থী। ওই শিক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র ঠিক আছে কি না, তা দেখার দায়িত্ব তাঁর। কিন্তু তিনি তা করেননি।’
ইভানা তালুকদার বলেন, ‘নিয়মিত ছাত্রদের নাম বাদ দিয়ে অনিয়মিত ও নির্বাচনী পরীক্ষায় অনুত্তীর্ণ মাশফিকুল রহমান অনি ও মেহেদি হাসান বাপ্পীর নাম ঢুকিয়ে দেন ওই সহকারী শিক্ষক। এতে ফরম ফিলাপ থেকে বাদ পড়ে যায় সাজ্জাদ হোসেন ও ইয়াছির আরাফাত নামের নিয়মিত দুই শিক্ষার্থী।’
পরীক্ষা দিতে না পারা দুই শিক্ষার্থীকে সকল সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে ইভানা বলেন, ‘যত প্রকার সাহায্য করতে হয়; আমার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে, আমার নিজের পক্ষ থেকে, আমি সবকিছু করার জন্য প্রস্তুত।’
উল্লেখ্য, উত্তরা ৭ নম্বর সেক্টরের ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালে গিয়ে দেখা যায়, সবাই যখন পরীক্ষার হলে, তখন প্রতিষ্ঠানটির মানবিক শাখার আরাফাত ও সাজ্জাদ কেন্দ্রের গেটের সামনে প্রবেশপত্রের আশায় বসে বসে কান্না করছেন। তাঁদের সঙ্গে কান্না করছেন পরিবারের সদস্যরাও।
দুই শিক্ষার্থী ও স্বজনদের দাবি, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভুলে তাঁরা পরীক্ষা দিতে পারেননি। তাঁরা অভিযোগ করে বলেন, শিক্ষকেরা টাকা খেয়ে আমার ছেলের রোলে অন্যজনকে ঢুকিয়ে দিয়েছেন।