ঢাকায় ‘মন্দির’ উচ্ছেদের ঘটনায় ভারতের উদ্বেগ


ঢাকার খিলক্ষেতে একটি ‘মন্দির’ উচ্ছেদের ঘটনায় ভারত নিন্দা ও গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এ উদ্বেগ জানান। তিনি বিষয়টিকে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর নির্যাতনের ধারাবাহিকতা আখ্যা দিয়ে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব পালনের প্রশ্ন তুলেছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, ঢাকার খিলক্ষেত এলাকায় দুর্গা মন্দির ভাঙার জন্য উগ্রবাদীরা চাপ দিচ্ছিল। কিন্তু বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মন্দিরটি রক্ষার বদলে এটিকে অবৈধ নির্মাণ বলে চিহ্নিত করে আজ ভেঙে ফেলার অনুমতি দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভাঙচুরের সময় দুর্গা প্রতিমা ভেতরে থাকাকালীনই ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমরা মর্মাহত যে, বাংলাদেশে এমন ঘটনা বারবার ঘটছে। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব হলো হিন্দু সম্প্রদায়, তাদের সম্পত্তি ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান রক্ষা করা।’
এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, মন্দিরটি একটি অস্থায়ী কাঠামো। এটি রেলওয়ের জমিতে অবৈধভাবে নির্মিত। স্থানীয়দের প্রতিবাদের তিন দিনের মাথায় বাংলাদেশ রেলওয়ের সহায়তায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর উপস্থিতিতে বুলডোজার দিয়ে মন্দিরটি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।