শিরোনাম
‘ক্ষেপণাস্ত্রের সংখ্যায় নয়, গুণে বিশ্বাসী ইরান, ইসরায়েল এবার আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব দেখবে’ইরানে বোমা ফেলে গাজাকে বিশ্ববাসীর মন থেকে মুছতে চাইছেন নেতানিয়াহু: মার্কিন সিনেটরভাড়া বললে গালি, প্রতিবাদে মার! বরিশালে যাত্রা মানেই ঝুঁকিযৌথ বাহিনীর অভিযানে দেশি-বিদেশি অস্ত্র জব্দ, বিএনপি নেতাসহ আটক ৪ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রানের পাহাড় গড়া ভারত থামবে কোথায়কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের বাছাই পরীক্ষার সূচিরেকর্ড ১৯০৮ কোটি টাকা দিয়ে চ্যাম্পিয়ন ফুটবলার কিনল লিভারপুলইরানে ভূমিকম্প নিয়ে পারমাণবিক পরীক্ষার জল্পনা, যা বলছেন বিশেষজ্ঞরাছাগলে খেল শিমগাছ, প্রাণ গেল মালিকের‘আমেরিকা যুদ্ধে জড়ালে ইরানের হাতে অনেক বিকল্প আছে’

‘আমেরিকা যুদ্ধে জড়ালে ইরানের হাতে অনেক বিকল্প আছে’

‘আমেরিকা যুদ্ধে জড়ালে ইরানের হাতে অনেক বিকল্প আছে’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যদি ইসরায়েলি নেতৃত্বকে ইরানে হামলা বন্ধ করার নির্দেশ দেন, তাহলে ইরানের সঙ্গে কূটনীতি ‘সহজেই’ আবার শুরু করা যেতে পারে। গতকাল শুক্রবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেছেন ইরানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাজিদ ফারাহানি। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে ইরানের হাতে অনেক বিকল্প আছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘ইরান বেসামরিক সংলাপে বিশ্বাসী। (সংলাপ) প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ, সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইসরায়েলিদের কাছে শুধু একটি টেলিফোন কলের মাধ্যমে সহজেই যুদ্ধ থামাতে পারেন।’ ফারাহানি ইরানের সেই অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন যে, যতক্ষণ ইসরায়েলি বোমা ইরানে আঘাত হানছে, ততক্ষণ আলোচনা অসম্ভব।

ফারাহানি বলেন, ইরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করবে না। তেহরান এটি শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যেই করে। তবে তিনি যোগ করেন, ছাড় দেওয়া সম্ভব।

তিনি বলেন, ‘হয়তো এটি কম হতে পারে, তবে আমরা এটি বন্ধ করব না।’

সাম্প্রতিক দিনগুলোতে, ইউরোপীয় শক্তিগুলো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ নিষিদ্ধ করার জন্য আমেরিকান এবং ইসরায়েলি আহ্বানে যোগ দিয়েছে। এই ইস্যুতে পশ্চিমাদের অবস্থান আরও জোরালো হয়েছে। ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্টোফ লেমোইন গতকাল শুক্রবার সিএনএন-কে বলেছেন, ফ্রান্স ‘শূন্য সমৃদ্ধকরণের ওপর একটি স্পষ্ট অবস্থান’ নিয়েছে।

তবে ইরান বলছে, শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের প্রয়োজন। যদিও তারা বিপুল পরিমাণে অস্ত্র তৈরির মতো বিশুদ্ধতার কাছাকাছি পৌঁছানোর মতো গ্রেডের ইউরেনিয়ামও উৎপাদান করছে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।

এদিকে ইসরায়েলের আহ্বানে ইরানে হামলার বিষয়টি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সক্রিয় বিবেচনা করছেন বলে নানা সূত্রে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে খবর এসেছে। তবে কূটনৈতিক সমাধানের জন্য তিনি নিজেই দুই সপ্তাহের সময় নিয়েছেন। এতে ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে একটি শান্তি চুক্তির জন্য একটি পথ খুলে গেছে।

গতকাল শুক্রবার জেনেভায় ইরান, ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্র নীতি প্রধানের সঙ্গে বৈঠক করেন। সংঘাত শুরুর পর এটিই এই ধরনের প্রথম প্রকাশ্য ও মুখোমুখি বৈঠক।

ট্রাম্প প্রশাসনের ক্রমবর্ধমান আক্রমণাত্মক বার্তার কয়েকদিন পর এটি সামরিক পদক্ষেপ এড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি করেছে। বাস্তবিকপক্ষে, ইরানের বিরুদ্ধে সরাসরি হামলা চালানো হবে কিনা তা নিয়ে ট্রাম্পের নিজের শিবিরেই তীব্র বিভেদ দেখা দিয়েছে।

ইরানি কর্মকর্তা ফারহানি বলেন, ‘যদি আমেরিকা যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে, তাহলে অনেক বিকল্প আছে এবং সেই সব বিকল্পই আলোচনার টেবিলে রয়েছে।’

শুক্রবার তেহরানের রাস্তায় বিপুল সংখ্যক মানুষ বিক্ষোভ করেন। তাঁরা ইসরায়েল এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি তীব্র ক্ষোভ জানান।

শুক্রবার জুমার নামাজের পর তেহরানে বিপুল জনসমাগম দেখা গেছে। বিক্ষোভকারীরা ইরান, হিজবুল্লাহ এবং ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়েছেন এবং যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের পতাকা পুড়িয়েছেন। স্লোগানে মুখর ছিল তেহরানের রাজপথ। এক নারী সিএনএন-কে বলেন, ‘ট্রাম্প, আপনি আমার নেতাকে হুমকি দিচ্ছেন। আপনি কি জানেন না যে আমার জাতি বিশ্বাস করে, মৃত্যু মধুর চেয়েও মিষ্টি?’

উল্লেখ্য, এর আগে ইসরায়েল ও ডোনাল্ড ট্রাম্প তেহরান থেকে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছেন। বহু মানুষকে তেহরান ত্যাগ করতেও দেখা গেছে। তবে গতকাল শুক্রবার রাজপথের চিত্র ছিল বিস্ময়কর!



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button