শিরোনাম
‘প্রতিশোধ নয় বরং দয়া ও ক্ষমাই হলো সিরাতের প্রকৃত শিক্ষা’শিবিরকে শুভেচ্ছা জানানো সেই পোস্ট মুছে ফেলল পাকিস্তানের জামায়াতে ইসলামীপ্রিয় জেন-জেড সন্তানেরা, আমি শিবপুরীতে—নেপালের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর চিঠিআমিরাতকে সহজেই হারাল ভারত – ক্রাইম জোন ২৪জাকসু নির্বাচন বৃহস্পতিবার, এখনো মেলেনি ডোপ টেস্টের ফলাফলবাবার দ্বিতীয় বিয়ের প্রতিবাদ করে খুন হলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেলের চালকসহ নিহত ২দক্ষিণখানে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের সড়ক অবরোধনেত্রকোনায় সাবেক ছাত্রদল নেতাকে মারধর বর্তমান সভাপতিরমঈন খানের বাসায় কূটনীতিকদের নৈশভোজ
জেলার খবর

মানিকছড়িতে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠায় জনমনে বিভ্রান্তি; প্রশাসনের মতবিনিময় সভা

মানিকছড়িতে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠায় জনমনে বিভ্রান্তি; প্রশাসনের মতবিনিময় সভা

খাগড়াছড়ির মানিকছড়িতে ২০২১ সালে স্বেচ্ছাসেবি সংগঠন স্মার্ট মানিকছড়ির উদ্যোগে ‘স্মার্ট মানিকছড়ি পাবলিক লাইব্রেরি’ প্রতিষ্ঠা করা হয়। প্রতিষ্ঠার পর এর কার্যক্রম প্রান্তবন্ত থাকলেও কিছুদিন পর সেটি মুখথুবড়ে পড়ে! স্থবির হয়ে পড়ে সকল কার্যক্রম। ফলে বই-পুস্তক, সেল্ফ, চেয়ার, টেবিল ও অন্যান্য আসবাবপত্র নষ্ট হতে শুরু করে!

এরই মধ্যে সম্প্রতি খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের সহযোগিতায় ও উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ‘উপজেলা প্রশাসন লাইব্রেরি’ প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় এবং এর কার্যক্রমও শেষ করা হয়েছে। শুধুমাত্র আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের পক্ষোয়। আর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে স্মার্ট মানিকছড়ি পাবলিক লাইব্রেরির সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলরা লাইব্রেরিতে থাকা ২০০টি বই, ৩টি বুকসেল্ফ, ১২টি চেয়ার, পানির ফিল্টার, কার্পেট সমূহ উপজেলা প্রশাসন লাইব্রেরিতে হস্তান্তর করেন। যা স্থানীয় ও তৎকালীন সময় সহযোগিতাকারী অনেকেরই অজানা।

তবে স্মার্ট পাবলিক লাইব্রেরি বন্ধ হয়ে যাওয়া এবং উক্ত লাইব্রেরির মালামাল প্রশাসনিক লাইব্রেরিতে হস্তান্তর করা হয়েছে এমন খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ স্থানীয় সর্বসাধারণে মাঝে ছড়িয়ে পড়লে নেটিজেনদের মিশ্রপ্রতিক্রিয়ায় জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়।

ফলে বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে সাংবাদিক ও স্মার্ট মানিকছড়ি পাবলিক লাইব্রেরির দায়িত্বশীলদের নিয়ে মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তাহমিনা আফরোজ ভুঁইয়া।

মতবিনিময় সভায় তিনি জানান, পাবলিক লাইব্রেরি পরিচালিত হয় জাতীয় গ্রন্থাগারের উদ্যোগে। যার সকল কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্বে থাকেন “জাতীয় গ্রন্থাগার” কর্তৃপক্ষ। তাই পাবলিক লাইব্রেরি প্রশাসনিকভাবে প্রতিষ্ঠার কোনো সুযোগ নেই। তবে যদি কেউ স্মার্ট পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করতে চায় তাহলে স্মার্ট মানিকছড়ি পাবলিক লাইব্রেরির সকল ( রক্ষিত) মালামাল ফেরত দেয়া হবে এবং উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করার কথাও জানিয়েছেন তিনি।

তিনি আরও জানান, “মানিকছড়ি উপজেলা প্রশাসন লাইব্রেরি” সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ইতোমধ্যে স্কুল, মাদরাসা ও কলেজ শিক্ষার্থীদের লাইব্রেরির সদস্য করতে শিক্ষকদের আলোচনা হয়েছে। ইতোমধ্যে অনেককেই সদস্য ফরম পূরণ করছেন। তবে ভবিষ্যতে উপজেলার যেকোন স্থানে ব্যক্তি কিংবা প্রাতিষ্ঠানিক উদ্যোগে লাইব্রেরি/গ্রন্থাগার প্রতিষ্ঠা করা হলে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও সসর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।



সালাউদ্দিন/সাএ



ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button