শিরোনাম

ইরানের যেসব শহর ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করেছে ইসরায়েল

ইরানের যেসব শহর ও পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা করেছে ইসরায়েল

ইরানে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। কয়েক দিন ধরেই আশঙ্কা করা হচ্ছিল ইরানের পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতে ইসরায়েল হামলা চালাতে পারে। এ হামলায় ইরানের বিপ্লবী গার্ড বাহিনীর প্রধান হোসেইন সালামি এবং ২৫ বছর ধরে দেশটির পারমাণবিক শক্তিবিষয়ক সংস্থার প্রধানের দায়িত্বে থাকা ফারেদুন আব্বাসি নিহত হয়েছেন।

আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা নতুন মাত্রা পেয়েছে। প্রাথমিক খবরে জানা গেছে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের ছয়টি স্থানে বিমান হামলা চালিয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, গত কয়েক ঘণ্টার মধ্যে অন্তত দুটি হামলা হয়েছে এবং তৃতীয় দফায় হামলা চলছে বলেও অসমর্থিত সূত্রে খবর পাওয়া গেছে। এই হামলায় ইরানের বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ শহর ও পারমাণবিক স্থাপনা লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।

যেসব স্থানে হামলার খবর নিশ্চিত:

রাজধানী তেহরান ও এর আশপাশের সামরিক স্থাপনা: ইরানের রাজধানী তেহরান এবং এর সামরিক ঘাঁটিগুলোতে হামলার ঘটনা নিশ্চিত করা হয়েছে।

নাতানজ শহর (তেহরানের দক্ষিণে) : এই শহরটিতে ইরানের প্রধান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের অবস্থান। ইসরায়েলি হামলার অন্যতম প্রধান লক্ষ্য ছিল এটি।

তাবরিজ শহর (তেহরানের উত্তর-পশ্চিমে) : এই শহরে একটি পারমাণবিক গবেষণা কেন্দ্র এবং দুটি সামরিক ঘাঁটির কাছে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া গেছে।

ইস্পাহান শহর (তেহরানের দক্ষিণে) : ইসরায়েলি হামলার শিকার হয়েছে ইস্পাহান শহরও।

আরাক শহর (তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমে) : তেহরানের দক্ষিণ-পশ্চিমের আরাক শহরটিও হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়েছে।

কেরমানশাহ শহর (তেহরানের পশ্চিমে) : তেহরানের পশ্চিমে অবস্থিত কেরমানশাহ শহরেও হামলার খবর পাওয়া গেছে।

এই হামলার ফলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ দেখা দিয়েছে। ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে দীর্ঘদিনের উত্তেজনা এবার সরাসরি সামরিক সংঘাতে রূপ নিয়েছে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে এবং সংঘাতের বিস্তার রোধে বিভিন্ন পদক্ষেপের আহ্বান জানাচ্ছে। হামলার বিস্তারিত ক্ষয়ক্ষতি এবং হতাহতের বিষয়ে এখনো সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া যায়নি।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button