শিরোনাম
নারায়ণগঞ্জে আজমেরী ওসমানের সহকারী ইভনকে কুপিয়ে হত্যাছাত্রদল-সমর্থিত প্যানেলের ভিপি-জিএস প্রার্থীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ডিজেবলড, অভিযোগ শিবিরেরওগাজীপুরে বকেয়া বেতনের দাবিতে শ্রমিকদের দেড় ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ‘পাকিস্তান ম্যাচ বয়কট করলে ভারতকে শাস্তি দিত আইসিসি’১৫ বছরে অর্থনীতি ও রাজনীতিকে ধ্বংস করেছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ: মির্জা ফখরুলযুক্তরাষ্ট্রে ১৮ লাখ ডলারে লবিং ফার্ম নিয়োগ করল ভারতজন্মদিনে ডিজিটাল আর্কাইভ চালু করলেন সংগীতশিল্পী ইয়াসমিন মুশতারীডাকসু নির্বাচনে হস্তক্ষেপের প্রশ্নই আসে না: সেনাবাহিনীমনিরামপুরে চাঁদা না পেয়ে ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তারসাবেক সচিব আবু আলম মোহাম্মদ শহীদ খান গ্রেপ্তার

চাকরির আবেদনে কভার লেটারের ৭ গুরুত্ব

চাকরির আবেদনে কভার লেটারের ৭ গুরুত্ব

চাকরির বাজার দিন দিন প্রতিযোগিতাপূর্ণ হয়ে উঠছে। একই পদে শত শত প্রার্থী আবেদন করেন। নিয়োগকর্তা বা এইচআর কর্মকর্তাদের হাতে সময় থাকে সীমিত। তাঁরা সব সিভি বিস্তারিত পড়তে পারেন না। এ জায়গায় কভার লেটার হয়ে ওঠে আবেদনকারীর প্রথম ইমপ্রেশন।

একটি ভালো কভার লেটার শুধু সিভিকে শক্তিশালী করে না; বরং নিয়োগকর্তাকে আবেদনকারীর ব্যক্তিত্ব, লক্ষ্য ও উপযুক্ততার একটা স্পষ্ট ধারণা দেয়। তাই চাকরির আবেদনের ই-মেইলে সিভি পাঠানোর সময় কভার লেটার যুক্ত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

ব্যক্তিত্ব প্রকাশের মাধ্যম

সিভি সাধারণত আনুষ্ঠানিক ও কাঠামোবদ্ধ। সেখানে প্রার্থীর ব্যক্তিত্ব বোঝা যায় না। কিন্তু কভার লেটারে শব্দের ব্যবহার, ভাব প্রকাশ, কিংবা উদাহরণের মাধ্যমে আবেদনকারী তাঁর চিন্তাভাবনা ও কর্মমুখী মনোভাব তুলে ধরতে পারেন। এটা নিয়োগকর্তাকে বলে দেয় প্রার্থী শুধু দক্ষই নয়, কাজের জন্যও প্রস্তুত।

প্রতিষ্ঠানের প্রতি আগ্রহ প্রদর্শন

কভার লেটারে প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আগ্রহের বিষয়টি দেখানো যায়। কোন কারণে প্রতিষ্ঠানটিতে আবেদন করা হলো, প্রতিষ্ঠানটির কোন মূল্যবোধ বা লক্ষ্য আবেদনকারীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে, এসব বিষয় উল্লেখ করলে নিয়োগকর্তা বুঝতে পারেন, প্রাৃর্থী সত্যিই ওই প্রতিষ্ঠানে কাজ করতে চান।

সিভির ঘাটতি পূরণের সুযোগ

কোনো প্রার্থীর সিভিতে হয়তো অভিজ্ঞতা বা দক্ষতার সীমাবদ্ধতা থাকতে পারে। কভার লেটারে তিনি ব্যাখ্যা করতে পারেন, কেন অভিজ্ঞতা কম হলেও তিনি দ্রুত শিখতে পারবেন বা তার ভিন্নধর্মী দক্ষতা কীভাবে কাজে লাগতে পারে। ফলে সিভির ঘাটতি কভার লেটার অনেকটা পূরণ করে দিতে পারে।

যোগাযোগ দক্ষতার প্রমাণ

চাকরিতে শুধু কাজের অভিজ্ঞতা নয়, স্পষ্টভাবে যোগাযোগ করতে পারাও গুরুত্বপূর্ণ। কভার লেটার আসলে একধরনের লিখিত যোগাযোগের পরীক্ষা। প্রার্থী যদি সংক্ষিপ্ত, প্রাসঙ্গিক ও তাৎপর্যপূর্ণভাবে নিজের কথা তুলে ধরতে পারেন, তাহলে নিয়োগকর্তা বুঝতে পারেন তিনি ই-মেইল, রিপোর্ট কিংবা অন্য পেশাগত কাজে কার্যকরভাবে লিখিত যোগাযোগ করতে সক্ষম।

এগিয়ে থাকার মাধ্যম

বেশির ভাগ প্রার্থী শুধু সিভি পাঠান। যাঁরা কভার লেটার যুক্ত করেন, তাঁরাই আলাদা গুরুত্ব পান। নিয়োগকর্তা সাধারণত মনে করেন, এই প্রার্থী অন্যদের তুলনায় বেশি সচেতন, বেশি প্রস্তুত এবং সিরিয়াস। ফলে অনেক ক্ষেত্রে একই যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও কভার লেটার থাকা প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।

প্রফেশনাল ইমেজ তৈরি

কভার লেটার পাঠানো মানেই প্রার্থী পেশাগতভাবে পরিপক্ব। এটা তাঁর সচেতনতা, সময় ব্যবস্থাপনা ও পরিকল্পনামাফিক এগোনোর ক্ষমতা প্রদর্শন করে। নিয়োগকর্তার চোখে প্রার্থী তখন শুধু চাকরিপ্রার্থী নন; বরং একজন দায়িত্বশীল পেশাজীবী।

বাড়ায় সাক্ষাৎকারের সম্ভাবনা

শেষ পর্যন্ত নিয়োগপ্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য হলো সাক্ষাৎকারে ডাক পাওয়া। একটি আকর্ষণীয় কভার লেটার সিভিকে প্রাণবন্ত করে তোলে এবং নিয়োগকর্তাকে প্রলুব্ধ করে প্রার্থীকে সাক্ষাৎকারে ডাকতে। অর্থাৎ, কভার লেটার আসলে সাক্ষাৎকারের দরজা খোলার সোনার চাবি।

সূত্র: নেচার সাময়িকী, হার্ভার্ড বিজনেস রিভিউ।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button