মনিরামপুরে চাঁদা না পেয়ে ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার


মনিরামপুরে চাঁদা না পেয়ে ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৪
গ্রেপ্তারকৃত সাব্বির রহমান। ছবি: সংগৃহীত
যশোরের মনিরামপুরে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা না পেয়ে ভ্যানচালক মিন্টু হোসেনকে (৪০) কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির রহমানকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার হরিদাসকাটি ইউনিয়ন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মিন্টু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) অরূপ ঘোষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃত সাব্বির রহমান উপজেলার হাকোবা গ্রামের সাদেক আলীর ছেলে। তিনি মনিরামপুর পৌর বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন, তবে এ ঘটনার পর তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
এসআই অরূপ ঘোষ জানান, হাকোবা এলাকার ভ্যানচালক মিন্টু এবং তাঁর দুই ভাই সেন্টু ও পিকুলকে কুপিয়ে আহত করার ঘটনায় তাঁদের মা আমেনা বেগম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। সেই ঘটনায় ফারুক ও ছোট সাব্বির নামে দুজনকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঢাকায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিন্টু মারা যাওয়ার পর মামলাটি হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হয় এবং বড় সাব্বিরকে প্রধান আসামি করা হয়। মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে তাঁর অবস্থান নিশ্চিত করে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
কয়েক মাস ধরে বহিষ্কৃত বিএনপি নেতা সাব্বির রহমান ভ্যানচালক সেন্টুর কাছে পাঁচ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে আসছিলেন। সেন্টুর মনিরামপুর সরকারি বালক উচ্চবিদ্যালয়ের উত্তর গেট মোড়ে একটি চায়ের দোকান আছে। চাঁদা না দিলে দোকান উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন সাব্বির। সর্বশেষ ২৮ আগস্ট সন্ধ্যায় সেন্টুর দোকানে এসে আবারও চাঁদা দাবি করেন সাব্বির। এ নিয়ে কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সাব্বির পাঁচ-ছয়জন সঙ্গী নিয়ে এসে সেন্টু, তাঁর বড় ভাই মিন্টু এবং মেজো ভাই পিকুলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় তাঁদের বৃদ্ধ বাবা-মাকেও মারধর করা হয়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় মিন্টুকে ঢাকায় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।
ক্রাইম জোন ২৪