কিসের বিনিময়ে জাপানি গাড়ির ওপর শুল্ক কমিয়ে অর্ধেক করলেন ট্রাম্প


মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাপানি গাড়ি আমদানির ওপর শুল্ক ২৭ দশমিক ৫ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশ এ কমিয়ে আনার একটি নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করেছেন। এই পদক্ষেপটি টয়োটা, হোন্ডা এবং নিসানের মতো গাড়ি নির্মাতা কোম্পানিগুলোর জন্য বিদ্যমান বাণিজ্যিক অনিশ্চয়তা কমিয়ে আনবে বলে মনে করা হচ্ছে।
গত জুলাই মাসে ঘোষিত একটি চুক্তির আনুষ্ঠানিক রূপ হলো এই আদেশ, যেখানে গাড়ি এবং ফার্মাসিউটিক্যালসসহ প্রায় সব জাপানি রপ্তানির ওপর ১৫ শতাংশ শুল্ক ধার্য করার কথা ছিল।
হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, এই চুক্তির অধীনে টোকিও মার্কিন প্রকল্পে ৫৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে এবং ধীরে ধীরে আমেরিকান পণ্য, যেমন গাড়ি ও চালের জন্য তাদের বাজার উন্মুক্ত করতে সম্মত হয়েছে।
কয়েক মাসের দীর্ঘ আলোচনার পর এই চুক্তিটি চূড়ান্ত হলো, যা গত এপ্রিলে ট্রাম্পের বিশ্বজুড়ে ব্যাপক শুল্ক ঘোষণার প্রেক্ষাপটে শুরু হয়েছিল। নির্বাহী আদেশ অনুযায়ী, এই চুক্তিটি জাপানের সঙ্গে আমেরিকার বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে এবং মার্কিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য ‘অভূতপূর্ব সুযোগ’ তৈরি করতে সাহায্য করবে।
হোয়াইট হাউস আরও জানায়, জাপান বছরে ৮ বিলিয়ন ডলার মূল্যের মার্কিন পণ্য, যার মধ্যে কৃষি পণ্য, সার এবং বায়ো-ইথানল অন্তর্ভুক্ত, কিনতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ ছাড়া, টোকিও মার্কিন উৎপাদিত চাল কেনার পরিমাণ ৭৫ শতাংশ বাড়াতেও সম্মত হয়েছে, যা তাদের কৃষি খাত সুরক্ষার জন্য পূর্বে প্রতিরোধের সম্মুখীন হয়েছিল।
চলতি বছরের আগস্টে ট্রাম্পের শুল্ক কার্যকর হওয়ার পর বিশ্বজুড়ে সরকার এবং ব্যবসায়িক মহলে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়। এই শুল্কের প্রভাব সম্পর্কে গত মাসে টয়োটা সতর্ক করে বলেছিল যে এর কারণে এই বছর তাদের প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার খরচ হবে। জাপানের অর্থনীতি মূলত পণ্য রপ্তানির ওপর নির্ভরশীল, যেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাদের সবচেয়ে বড় রপ্তানি বাজার। দেশটির মোট রপ্তানির প্রায় ২০ শতাংশ গাড়ি খাত থেকে আসে।
এই চুক্তি ঘোষণার সময় ট্রাম্প এটিকে ‘ব্যাপক’ বলে অভিহিত করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে এটি ‘সবার জন্য একটি দারুণ চুক্তি’।
ক্রাইম জোন ২৪