নাইজেরিয়ায় নৌকাডুবি, নিহত কমপক্ষে ৬০ জন


নাইজেরিয়ার উত্তর-মধ্যাঞ্চলীয় নাইজার প্রদেশে ভয়াবহ নৌকাডুবিতে কমপক্ষে ৬০ জনের প্রাণহানি হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে প্রায় ৩০ জন। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১০ জনকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তবে, তাদের প্রত্যেকের অবস্থায় সংকটাপন্ন।
স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার সকালে শতাধিক যাত্রী নিয়ে টুঙ্গান সুলে নামের একটি শহর থেকে দুগ্গা শহরের উদ্দেশ্যে রওনা হয় নৌকাটি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছিল অতিরিক্ত যাত্রী বহনের কারণে এ নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। পরে, নাইজার স্টেট ইমারজেন্সি ম্যানেজমেন্ট এজেন্সি (এনএসইএমএ) জানিয়েছে, গাউসাওয়া কমিউনিটির কাছে পানির নিচে ডুবে থাকা একটি গাছের গুঁড়ির সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে ডুবেছে নৌকাটি। তবে, অতিরিক্ত যাত্রীও এ দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ।
এনএসইএমএ আরও জানিয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে নারী ও শিশুদের সংখ্যাই বেশি ছিল। তারা মূলত শোকসন্তপ্ত একটি পরিবারকে সমবেদনা জানাতে যাচ্ছিল। এনএসইএমএর মহাপরিচালক আবদুল্লাহি বাবা আরা সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে জানান, এখন পর্যন্ত মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬০ জনে। গুরুতর অবস্থায় অন্তত ১০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে, তবে আরও অনেকে এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
দুর্ঘটনার পরপরই ঘটনস্থলে পৌঁছান শাগুমি জেলার প্রধান সা’আদু ইনুয়া মুহাম্মদ। তিনি বলেন, ‘আমরা ৩১টি মরদেহ উদ্ধার করেছি। নৌকাটিকেও উদ্ধার করা হয়েছে।’ নিহতদের মধ্যে চারজনকে ইতিমধ্যে ইসলামি নিয়ম মেনে দাফন করা হয়েছে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
নাইজেরিয়ার নদীপাড়ের জনপদগুলোতে নৌকাডুবি খুব সাধারণ ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে মার্চ থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বর্ষাকালে নদী ও হ্রদ ফুলে-ফেঁপে ওঠায় এমন দুর্ঘটনা বেড়ে যায়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা না থাকা, অতিরিক্ত যাত্রী বহন এবং নৌকার রক্ষণাবেক্ষণের অভাবকে এসব দুর্ঘটনার প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। গত আগস্ট মাসেও সোকোতো প্রদেশে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাইয়ের কারণে নৌকাডুবিতে ৪০ জন নিখোঁজ হন।
ক্রাইম জোন ২৪