শিরোনাম
টঙ্গিবাড়ীতে মদপানে ৪ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে আরও ৩নুরাল পাগলার লাশ পোড়ানোর ঘটনায় সরকারের ব্যর্থতা ফুটে উঠেছে: এনসিপিআজকের নামাজের সময়সূচি: ৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫গাজীপুরে বাসচাপায় নওগাঁ ডিবির ওসি নিহত, স্ত্রী গুরুতরআমরা হয়তো চীনের কাছে ভারত-রাশিয়াকে হারিয়ে ফেলেছি: ট্রাম্পজাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধের দাবিযাঁর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার কথা, তাঁর গল্পটি থেমে গেল হঠাৎ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার ও গণঅধিকারকে নিষিদ্ধ করতে হবে: শামীম পাটোয়ারীগোয়ালন্দে আস্তানায় হামলায় ১ জন নিহত, আশঙ্কাজনক ৫মুন্সিগঞ্জে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, গুলিবিদ্ধ ৮

ভোটারের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে প্রার্থীর ভাবমূর্তি

ভোটারের কাছে গুরুত্ব পাচ্ছে প্রার্থীর ভাবমূর্তি

দীর্ঘ ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। এরই মধ্যে প্রর্থীদের প্রচারণায় জমে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস। তবে এবারের নির্বাচনে প্যানেলের চেয়ে প্রার্থীর ভাবমূর্তিতেই বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

জাকসুর ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ১৭৯ জন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ১০ এবং সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন প্রার্থী রয়েছেন। ইতিমধ্যে আটটি প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে। এর বাইরেও অনেক প্রার্থী স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

প্যানেল করার ক্ষেত্রে ভোটার টানতে নানা কৌশল নেওয়া হয়েছে। নারীদের ভোটগুলো টানতে ছাত্রদলের প্যানেলের জিএস পদে রাখা হয়েছে একজন নারী প্রার্থীকে। যদিও অন্য প্যানেলগুলোর শীর্ষ দুই পদে কোনো নারীকেই রাখা হয়নি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির মেধাতালিকায় থাকা শিক্ষার্থীরাও থাকছেন ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলে। এমন দুজন হলেন–অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী কাজী মৌসুমী আফরোজ সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে ও বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইয়ামিন হাওলাদার শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক পদে লড়ছেন।

গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদসমর্থিত ‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেলে নিজেদের সংগঠনের বাইরে বিভিন্ন সময়ে ক্যাম্পাসে যাঁরা শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন তাঁদের এবং বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্বকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। আবদুর রশিদ জিতুর নেতৃত্বে গঠিত ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ প্যানেলে রাখা হয়েছে ক্যাম্পাসের অরাজনৈতিক এবং পরিচিত মুখদের।

এ ছাড়া ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ প্যানেলে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্যদের রাখা হয়েছে। তাঁরা বাকি প্যানেলগুলোর তুলনায় সবচেয়ে বেশিসংখ্যক নারী প্রার্থীও রেখেছেন। ছাত্রশিবিরসমর্থিত প্যানেলেও জুলাই আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন, এমন কয়েকজনকে রাখা হয়েছে।

‘শিক্ষার্থী ঐক্য ফোরাম’ প্যানেলের ভিপি প্রার্থী আরিফুজ্জামান উজ্জ্বল বলেন, ‘আমরা এখন প্যানেল হিসেবে সে রকমভাবে মুভ করছি না। সবাই ব্যক্তিগতভাবে বিভিন্ন সার্কেলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি। এরপর আমরা সবাই প্যানেল হিসেবে সব সার্কেলের কাছে একসঙ্গে যাব।’

তবে প্যানেলের বাইরে যাঁরা নির্বাচন করছেন, তাঁদের ভোটারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য বেশি পরিশ্রম করতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরা। এ ছাড়া ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী সম্মিলন’ নামে একটি প্যানেল থাকায় ভোটারদেরকে আলাদাভাবে বোঝাতে হচ্ছে যে, তাঁরা একেবারেই কোনো প্যানেলে নেই।

এ বিষয়ে কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদের স্বতন্ত্র প্রার্থী রাকিবুল হাছান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ায় আমার একা একাই সবকিছু করতে হচ্ছে, প্রচারণার জন্য আলাদা লোকবল নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের আলাদা একটি প্যানেল হওয়ায় আমার আলাদাভাবে শিক্ষার্থীদের বোঝানো লাগছে, আমি আসলেই একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী।’

প্রার্থীর ভাবমূর্তিতে জোর শিক্ষার্থীদের

সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তাঁরা নির্বাচনে দল বা প্যানেল হিসেবে নয়; বরং প্রার্থীর ভাবমূর্তি বেশি মূল্যায়ন করছেন। এ ক্ষেত্রে প্রার্থীর বিগত দিনের কর্মকাণ্ড ও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ভূমিকা ভোটারদের ওপর বেশি প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন শিক্ষার্থীরা।

জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী হিরা খাতুন বলেন, ‘জাকসুতে ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রার্থী কতটা যোগ্য, ছাত্রস্বার্থে কাজ করার আন্তরিকতা ও আগের কর্মকাণ্ডকে বিশেষ করে জুলাইয়ে তাঁর ভূমিকাকে গুরুত্ব দেব। যাঁরা আগে শিক্ষার্থীদের অধিকার আদায়ে সোচ্চার ছিলেন, তাঁদেরই আমরা জাকসুতে আমাদের প্রতিনিধি হিসেবে দেখতে চাই।’

অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী চয়ন মাহমুদ প্রিন্স বলেন, ‘ভোট দেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো প্যানেল বা দল দেখব না, ব্যক্তি হিসেবে প্রার্থী কেমন, তিনি সবার প্রতিনিধি হতে পারবেন কি না, এসব বিষয় আমি বিবেচনা করব।’

জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃধা মো. শিবলী নোমান বলেন, ‘আমি মনে করি শিক্ষার্থীরা জাকসুর শীর্ষ পদগুলোয় প্রার্থীদের অতীত কার্যক্রমের বিষয়গুলো মাথায় রেখে ভোট দেবে। তবে অন্যান্য পদে ব্যক্তিগত পরিচিতি, নিজ নিজ বিভাগ, আবাসিক হল ও জেলার প্রার্থীদের ভোট দেওয়ার একটি প্রবণতা দেখা যেতে পারে।’


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button