শিরোনাম
রক্ষণাবেক্ষণের জন্য তিন দিন কর্ণফুলী টানেলে ট্রাফিক ডাইভারশনআবু সাঈদের মাথার পেছনে ঝরছিল রক্ত, বুকে ছিল গুলির চিহ্ন— বাবা মকবুল হোসেনের জবানবন্দিইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসে চাকরির সুযোগ, এইচএসসি পাসে আবেদনজাকসু নির্বাচন উপলক্ষে ছাত্রদলের প্যানেল ঘোষণারাজশাহীতে প্রকৌশল শিক্ষার্থীদের ফের মহাসড়ক অবরোধভোলায় পানিতে ডুবে দুই শিশুর মৃত্যুবায়োপিকের শুটিংয়ের আগে সৌরভ গাঙ্গুলীর সঙ্গে এক মাস থাকবেন রাজকুমারএকবার চার্জে টানা দুই দিন চলবে রিয়েলমির এই স্মার্টফোনগুগল ট্রান্সলেটে নতুন এআই ফিচার, অ্যাপেই শেখা যাবে নতুন ভাষাআসাম থেকে ২৬ জন বাংলাদেশে পুশ ইন, ‘অনুপ্রবেশ করিডর’ নিয়ে হুঁশিয়ারি মুখ্যমন্ত্রীর

আবু সাঈদের মাথার পেছনে ঝরছিল রক্ত, বুকে ছিল গুলির চিহ্ন— বাবা মকবুল হোসেনের জবানবন্দি

আবু সাঈদের মাথার পেছনে ঝরছিল রক্ত, বুকে ছিল গুলির চিহ্ন— বাবা মকবুল হোসেনের জবানবন্দি

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের প্রথম শহীদ রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদের হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় প্রথম সাক্ষী হিসেবে সাক্ষ্য দিলেন তাঁর বাবা মকবুল হোসেন। আজ বৃহস্পতিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দিতে মকবুল হোসেন জানান, আবু সাঈদের লাশ বাড়িতে আনার পর গোসল করানোর সময় মাথার পেছনে রক্ত ঝরতে দেখা যায়। বুকে গুলির চিহ্ন ছিল।

জবানবন্দিতে আবু সাঈদের বাবা আরও বলেন, ‘গত বছরের ১৬ জুলাই দুপুরে বাড়িতে এসে শুনতে পাই, আবু সাঈদের গুলি লেগেছে। পরে জোহরের আগে শুনলাম, আবু সাঈদ মারা গেছে।’ এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি।

মকবুল হোসেন বলতে থাকেন, ‘খবর শুনে আমার দুই ছেলে ও দুই মেয়ের জামাই বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে ছেলের লাশ পায়নি। লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে গেছে। পোস্টমর্টেমের পর রাত সাড়ে ৩টায় লাশ বাড়িতে নিয়ে আসে। প্রশাসনের লোকজন রাতেই লাশ দাফন করতে বলেছিল। আমি রাজি না হওয়ায় পরদিন সকাল ৯টায় দুইবার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।’

আবু সাঈদের বাবা বলেন, ‘আবু সাঈদের লাশ বাড়িতে আনার পর গোসল করানোর সময় দেখা যায়, মাথার পেছনে রক্ত ঝরছে। বুকে গুলির চিহ্ন ছিল। পরে শুনেছি পুলিশ সদস্য আমির আলী ও সুজন চন্দ্র দাস আমার ছেলেকে গুলি করেছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ওই ঘটনার দুই-তিন দিন আগে ছাত্রলীগ নেতা পমেল বড়ুয়া আমার ছেলেকে গলা চেপে ধরে থাপ্পড় মেরেছিল। আমার ছেলেকে যারা শহীদ করেছে সরকারের কাছে তাদের কঠোর বিচার চাই। আমার মৃত্যুর আগে যেন ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারি এটাই আমার চাওয়া।’

মকবুল হোসেন আরও বলেন, ‘এই হত্যার সঙ্গে জড়িত ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ সবার বিচার চাই। এটাই আমার দাবি। আমি আগে মানুষের কাছে গল্প করতাম, আমার ছেলে সরকারি চাকরি করবে, এটা দেখে যাব। এখন আমার মৃত্যুর আগে যেন ছেলে হত্যার বিচার দেখে যেতে পারি, এটাই আমার চাওয়া।’

আরও পড়ুন:


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button