শিরোনাম

নতুন মৌসুমে বড় পরিসরে বিসিবির আঞ্চলিক ক্রিকেট

নতুন মৌসুমে বড় পরিসরে বিসিবির আঞ্চলিক ক্রিকেট

বাংলাদেশ-নেদারল্যান্ডস সিরিজ উপলক্ষে ক্রিকেটপ্রেমীদের চোখ এখন সিলেটে। তবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল কাল সিলেটে নয়, গিয়েছেন চট্টগ্রামে। তাঁর কর্মসূচি ভিন্ন। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলা দলকে নিয়ে আজ শুরু হচ্ছে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক চট্টগ্রাম আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট। এই টুর্নামেন্ট উদ্বোধন করতেই এখন চট্টগ্রামে বিসিবি সভাপতি। তাঁর সঙ্গে আছেন বিসিবির টুর্নামেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান আকরাম খান ও বিসিবির ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম।

চট্টগ্রামে আঞ্চলিক টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো হবে বীরশ্রেষ্ঠ মতিউর রহমান স্টেডিয়াম ও জেলা স্টেডিয়ামে। দুটি সেমিফাইনাল ও ১০ সেপ্টেম্বর ফাইনাল হবে দিবারাত্রির আলোয়। চট্টগ্রামে গত দুই দিন ধরে অনুষ্ঠিত সিলেট ও বিভাগীয় কোচদের কোচেস ট্রেনিং কোর্সের শেষ দিন ছিল কাল। সমাপনী দিনে বিসিবি সভাপতি বুলবুল স্থানীয় কোচদের সমস্যা শুনে বিসিবির গেম ডেভেলপমেন্ট বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছেন সমাধানের।

আমিনুল ইসলাম বুলবুল চট্টগ্রামের আঞ্চলিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের এই উদ্যোগকে দেখছেন দেশের ক্রিকেটের ভিত মজবুত করার বড় ধাপ হিসেবে। চট্টগ্রাম থেকে তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাজশাহীতে আমরা বয়সভিত্তিক লিগ করেছি। এবার প্রথমবার জেলাভিত্তিক টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট শুরু হলো। আশার কথা, স্থানীয় পর্যায় থেকেই ৭০ শতাংশ অর্থ সংগ্রহ হয়েছে। জেলা ও বিভাগে যাঁরা কোচ আছেন, তাঁরাই নিজেদের দল তৈরি করেছেন। ঢাকা থেকে কেউ যায়নি। পৃষ্ঠপোষকেরা এতটাই আগ্রহী, পাঁচ বছরের জন্য স্পনসর হতে চায়। তার মানে আমরা বুঝলাম, আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট নিয়ে যথেষ্ট আগ্রহ আছে স্থানীয় পৃষ্ঠপোষকদের।’

বুলবুল জানিয়েছেন, ক্রিকেটকে সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে বিসিবি একসঙ্গে দুটি ধারা চালু করেছে ‘বটম আপ অ্যাপ্রোচ’ ও ‘টপ টাওয়ার অ্যাপ্রোচ’। বিষয়টির ব্যাখ্যায় বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘ডেভেলপমেন্টের দুটি ধারা আছে। বটম আপ মানে নিচের স্তরের উন্নয়ন, যেখানে রাজশাহীতে কোচদের ওয়ার্কশপ ও বয়সভিত্তিক টুর্নামেন্ট হয়েছে। নিচ থেকে ওপরের দিকে যাওয়া। আর টপ টাওয়ার হচ্ছে সিনিয়র পর্যায়ে, যেখানে বয়সভিত্তিকের ওপরের ক্রিকেট হবে। জেলা পর্যায়ের সিনিয়র ক্রিকেট। এই ইভেন্টের মাধ্যমে প্রতিটি জেলা জানল, তাদের একটা শক্তিশালী দল গড়তে হবে। এভাবে আন্তজেলা ক্রিকেটও ঠিক থাকবে। এটা মূলত জেলা ক্রিকেটই দেখবে।’

আগামী অক্টোবর থেকে রাজশাহী ও চট্টগ্রামের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সারা দেশের বিভাগীয় শহরে হবে পূর্ণাঙ্গ টুর্নামেন্ট। বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘পরীক্ষামূলক করে আমরা অনেক কিছু শিখছি। এখান থেকে শিখে আগামী মৌসুমটা ধরতে চাইছি। আগামী অক্টোবর, নভেম্বর, ডিসেম্বরে ২০ ও ৫০ ওভারের ম্যাচ নিয়ে বড় পরিসরে আমরা এগোচ্ছি। এটা নির্ভর করছে বিভাগ ও জেলার ক্রিকেটের ওপর। জেলা পর্যায়ের ক্রিকেটাররা বেশি ম্যাচ খেলতে পারলে জাতীয় পর্যায়ে প্রতিভা তুলে আনা সহজ।’

চট্টগ্রামে ২০ ওভারের টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর বিসিবির পরিকল্পনা সিলেটে ৫০ ওভারের একটি আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট চালু করা। সেটি চূড়ান্ত হতে পারে সিলেটে ১ সেপ্টেম্বর বোর্ড সভায়। এবার বিসিবির বোর্ড সভা হওয়ার কথা সিলেটে, নেদারল্যান্ডস সিরিজের ফাঁকে।

চট্টগ্রামে আঞ্চলিক টুর্নামেন্ট আয়োজন নিয়ে বিসিবি পরিচালক আকরাম খান বলেছেন, ‘চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলো থেকে নতুন ক্রিকেটার তুলে আনাই মূল লক্ষ্য। এতে বিভাগীয় দল গঠনে আমাদের হাতে আরও বিকল্প থাকবে। ভালো খেলা দু-একজন ক্রিকেটারকে এবারের এনসিএল টি-টোয়েন্টির চট্টগ্রাম দলে সুযোগ দেওয়ার পরিকল্পনাও রয়েছে।’ টুর্নামেন্টের সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আকরাম বলেন, ‘প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটাররা যে ধরনের হোটেলে থাকে, যে সুবিধা পায়—এই টুর্নামেন্টেও ক্রিকেটারদের জন্য সেই একই সুযোগ থাকবে। খরচের অর্ধেক বহন করবে বিসিবি, বাকি অর্ধেক আসবে পৃষ্ঠপোষকদের কাছ থেকে।’

চট্টগ্রামে দলগুলোকে দুই গ্রুপে ভাগ করা হয়েছে। ‘এ’ গ্রুপে আছে ফর্টিস রাঙামাটি, ক্লিফটন খাগড়াছড়ি, এশিয়ান চট্টগ্রাম, ইস্পাহানি চট্টগ্রাম ও এবি ব্যাংক চাঁদপুর। ‘বি’ গ্রুপে আছে কন্টিনেন্টাল ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফর্টিস কুমিল্লা, ইস্পাহানি লক্ষ্মীপুর, কন্টিনেন্টাল কক্সবাজার, এবি ব্যাংক নোয়াখালী ও এশিয়ান বান্দরবান।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button