অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকালে বাংলাদেশি পুলিশ কর্মকর্তাকে আটকের দাবি বিএসএফের


অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশকালে সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ বাংলাদেশ পুলিশের এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে আটক করেছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে ৭টার দিকে হাকিমপুর সীমান্ত চৌকির কাছে তাঁকে আটক করা হয়। পরে তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ১৮ তাদের প্রতিবেদনে লিখেছে, আটক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা পরিচয়পত্র থেকে জানা গেছে তিনি বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই এমন একটি অংশ দিয়ে তিনি ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন। তাঁর আচরণে বিএসএফ সদস্যদের মনে সন্দেহ জাগে। তবে তিনি কেন অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিলেন, তা এখনো স্পষ্ট নয়। পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
এদিকে, সীমান্তে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে আসাম সরকার। গত বৃহস্পতিবার আসাম মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছে, এখন থেকে রাজ্যে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য আর আধার কার্ড ইস্যু করা হবে না। তবে তফসিলি জাতি, তফসিলি উপজাতি এবং চা বাগানের কর্মীদের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না। তারা আরও এক বছর আধার কার্ডের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, রাজ্য জনসংখ্যার অনুপাতে আধার কার্ডের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এটি অবৈধ অভিবাসীদের আধার কার্ড গ্রহণ থেকে বিরত রাখার একটি ‘নিরাপত্তা ব্যবস্থা’।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি কারণ, গত এক বছরে সীমান্তে অনেক বাংলাদেশিকে আটক করা হয়েছে। গতকালও আমরা সাতজনকে ফেরত পাঠিয়েছি। কিন্তু আমরা নিশ্চিত নই, সবাইকে ধরতে পেরেছি কি না। তাই আমরা এমন একটি সুরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই যাতে কেউ অবৈধভাবে আসামে প্রবেশ করে আধার কার্ড নিয়ে ভারতীয় নাগরিক হিসেবে বসবাস করতে না পারে।’
তিনি আরও বলেন, এক বছর পর যদি কেউ আধার কার্ড থেকে বাদ পড়ে যান, তাহলে তাকে সংশ্লিষ্ট ডিসির কাছে আবেদন করতে হবে। তখন ডিসি পুলিশ সুপার এবং ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালসহ অন্যান্যদের সঙ্গে পরামর্শ করে অনুমোদন দিতে পারবেন।
ক্রাইম জোন ২৪