শিরোনাম

একটি খনি ঘিরে সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান, কিন্তু চাবিকাঠি চীনের কাছে

একটি খনি ঘিরে সমৃদ্ধির স্বপ্ন দেখছে পাকিস্তান, কিন্তু চাবিকাঠি চীনের কাছে

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির জানিয়েছেন, বেলুচিস্তানের ‘রেকো ডিক’ খনি থেকেই দেশের ভবিষ্যৎ সমৃদ্ধি নির্ভর করছে। তিনি বিশ্বাস করেন, চীন যদি পাশে থাকে, তবে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ সোনা ও তামার খনিকে ঘিরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক চেহারা পাল্টে যেতে পারে।

সম্প্রতি পাকিস্তানের জাং মিডিয়া গ্রুপকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুনির দাবি করেন, আগামী বছর থেকে রেকো ডিক খনি থেকে কমপক্ষে দুই বিলিয়ন ডলার আয়ের ধারা শুরু হবে। তাঁর ভাষায়, ‘পাকিস্তান এক বিরল খনিজ সম্পদের ভান্ডারের ওপর বসে আছে। শিগগির আমরা ঋণের বোঝা কমাব এবং বিশ্বের সবচেয়ে সমৃদ্ধ সমাজগুলোর একটিতে পরিণত হব।’

বিশেষজ্ঞদের ধারণা, রেকো ডিকে রয়েছে প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ টন তামা এবং ২ কোটি আউন্সের বেশি সোনা। দীর্ঘদিন ধরে এটি পাকিস্তানের জন্য সম্ভাব্য ‘গেম-চেঞ্জার’ খনি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তবে প্রকল্পটির সঙ্গে জড়িয়ে আছে আন্তর্জাতিক ভূরাজনৈতিক সমীকরণ, বিশেষ করে পাকিস্তানে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব।

এ বিষয়ে রোববার বিজনেস টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চীন ইতিমধ্যে চায়না-পাকিস্তান ইকোনমিক করিডরের (সিপিইসি) মাধ্যমে এই অঞ্চলে বড় খেলোয়াড়ে পরিণত হয়েছে। বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, রেকো ডিক হতে পারে সেই নেটওয়ার্কের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। মুনির সরাসরি চীনের নাম উল্লেখ না করলেও তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে ‘সমান গুরুত্বপূর্ণ ভারসাম্যপূর্ণ অংশীদারত্বের’ কথা বলেছেন।

পাকিস্তানের এই ভারসাম্য রক্ষার প্রচেষ্টা এমন এক সময়ে এল, যখন অর্থনৈতিক সংকট, বেলুচিস্তানে বেড়ে চলা বিদ্রোহ এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে অবিশ্বাস—এই তিনটি বড় চ্যালেঞ্জের মুখে দাঁড়িয়ে রয়েছে দেশটি। ইসলামাবাদ একদিকে কূটনৈতিক সমর্থনের জন্য ওয়াশিংটনের দিকে তাকিয়ে আছে, অন্যদিকে রেকো ডিক প্রকল্পকে লাভজনক করতে প্রয়োজন চীনের মূলধন ও প্রযুক্তি।

তবে প্রকল্পটি রাজনৈতিকভাবেও অত্যন্ত স্পর্শকাতর। বেলুচ বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীগুলো বারবার অভিযোগ করেছে, তাদের প্রদেশের প্রাকৃতিক সম্পদকে শোষণ করছে ইসলামাবাদ। এই অবস্থায় নিরাপত্তা হুমকি থাকলেও মুনির আশাবাদী, পরিকল্পনা অনুযায়ী উৎপাদন শুরু হবে।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button