ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শিবির নেতা, ছাত্রলীগ সন্দেহে মারধর করল ছাত্রদল


ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে শিবির নেতা, ছাত্রলীগ সন্দেহে মারধর করল ছাত্রদল
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৪ আগস্ট ২০২৫, ২৩: ৩০
মব সৃষ্টি করার অভিযোগে একজনকে আটকে রাখেন শিবির নেতারা। ছবি: আব্দুল্লাহ আল গালিব
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়েছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রশিবিরের প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক মো. মামুন। তবে এ সময় তাঁকে ছাত্রলীগ সন্দেহে মারধর করেছেন ছাত্রদলের কর্মীরা। আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
হামলার খবর শুনে ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছান ঢাকা কলেজ ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা। ছাত্রদল নেতাদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয় তাঁদের। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের সমঝোতায় বিষয়টি সমাধানে আসে।
শিবির নেতা মো. মামুন বলেন, ‘ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বাড়ি ঘিরে যে নিরাপত্তাবেষ্টনী দেওয়া হয়েছে, সেটির ভেতরে অনেকেই যাচ্ছিলেন। আমিও যেতে চাইলাম। তখন পুলিশ বাধা দেয় আমাকে। আমি বলেছিলাম, সবাই যেতে পারলে আমি পারব না কেন? তখন কয়েকজন লোক এসে আমাকে প্রশ্ন করল, আমি কেন যেতে চাই। এরপর তারা আমাকে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে আমার ওপর অতর্কিত হামলা করে। আমি তাদের বলি, আমি ঢাকা কলেজ শিবিরের দায়িত্বশীল নেতা। এটি শুনে তারা বলে, ‘তো কী হয়েছে।’ পাশেই পুলিশ সদস্যরা ছিলেন। আমি তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি, কিন্তু পুলিশ তাদের আটকায়নি।’
মো. মামুন আরও বলেন, ‘আমাকে যখন মারধর করা হচ্ছিল, তখন হামলাকারীরা আমার মোবাইল, মানিব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।’
ঘটনাস্থলে ঢাকা কলেজ ছাত্রশিবিরের সভাপতি মোস্তাকিম আহমেদ বলেন, ‘তিনি (মো. মামুন) আমাদের এইচআরডি সম্পাদক (প্রশিক্ষণবিষয়ক সম্পাদক)। উনি উনার পরিচয় দেওয়ার পরও হামলা চলমান থাকে। আমাদের সঙ্গে ধামন্ডি ছাত্রদলের সদস্যসচিব জনি ভাইয়ের সঙ্গে কথা হয়েছে। তিনি স্বীকার করেছেন যে তাঁরা ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন এবং ভুল-বোঝাবুঝি হয়েছে বলে তাঁরা দুঃখ প্রকাশ করেছেন।’
এ বিষয়ে ধানমন্ডি থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্যসচিব মহিউদ্দিন সরকার জনি বলেন, ‘উনি যদি শুরুতেই উনার পরিচয় নিশ্চিত করতেন, তাহলে এ ঘটনা ঘটত না। উনি প্রথমে একটু উগ্র আচরণ করেছেন। এ কারণে উত্তেজিত হয়ে কয়েকজন তাঁকে মারধর করে। পরে আমরা তাঁর পরিচয় জানতে পেরে ছাড়িয়ে নিই।’
ক্রাইম জোন ২৪