ঢাকা-বরিশাল রুটে কেবিন সিন্ডিকেট: যাত্রীদের দুর্ভোগ অব্যাহত, লঞ্চ মালিকদের গাফিলতি


পদ্মা সেতু উদ্বোধনের পর থেকে ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে যাত্রীদের দুর্ভোগ অব্যাহত রয়েছে। যদিও তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে লঞ্চের সংখ্যা কমেছে এবং রোটেশন পদ্ধতিতে চলাচল করছে, তবুও কেবিন সিন্ডিকেটের কারণে যাত্রীরা নানা ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছেন।
অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন যে, কেবিন বুকিং নম্বরে ফোন করলেই কেবিন নেই বলে জানানো হয় বা নাম্বার বন্ধ থাকে। কিন্তু ঘাটে গিয়ে দেখা যায়, লঞ্চ ছাড়ার আগ মুহূর্তে ফিসফিস করে কেবিন বিক্রি হচ্ছে। এই ধরনের অনিয়মের কারণে যাত্রীরা বিপাকে পড়ছেন এবং লঞ্চে যাতায়াত করতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন।
লঞ্চ মালিকদের দায়িত্ব:
এই পরিস্থিতিতে লঞ্চ মালিকদের দায়িত্ব আরও বেশি করে। যাত্রী সেবার মান বৃদ্ধির জন্য কেবিন সিন্ডিকেট বন্ধ করা জরুরি। অন্যথা, যাত্রীরা ধীরে ধীরে লঞ্চ থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে।
বিশেষজ্ঞদের মতামত:
এ বিষয়ে পরিবহন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ঢাকা-বরিশাল রুটে নৌ পরিবহনের মান উন্নয়নের জন্য কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি। লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে বসে সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে হবে।
যাত্রীদের দাবি:
যাত্রীরা দাবি করেছেন যে, তারা নিরাপদ এবং আরামদায়ক ভ্রমণের অধিকারী। কেবিন সিন্ডিকেট বন্ধ করে যাত্রীদের সুবিধার জন্য কাজ করা উচিত লঞ্চ মালিকদের।
সরকারের দায়িত্ব:
সরকারকেও এ বিষয়ে দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। নিয়মিত পরিদর্শন করে অনিয়ম রোধ করতে হবে। যাত্রীদের অধিকার রক্ষার জন্য কঠোর আইন প্রয়োগ করতে হবে।
সমাধানের উপায়:
কেবিন সিন্ডিকেট বন্ধ করা * যাত্রী সেবার মান উন্নয়ন * নিয়মিত পরিদর্শন * কঠোর আইন প্রয়োগ * লঞ্চ মালিকদের সঙ্গে আলোচনা আশা করা যায়, সংশ্লিষ্ট সকলের প্রচেষ্টায় ঢাকা-বরিশাল নৌ রুটে যাত্রীদের দুর্ভোগের অবসান হবে এবং যাত্রীরা নিরাপদ ও আরামদায়ক ভ্রমণ উপভোগ করতে পারবে।