শিরোনাম

সংরক্ষিত নারী আসন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত পশ্চাৎপদ: মহিলা পরিষদ

সংরক্ষিত নারী আসন নিয়ে ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্ত পশ্চাৎপদ: মহিলা পরিষদ

২০৪৩ সাল পর্যন্ত জাতীয় সংসদে মনোনয়নের মাধ্যমে ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন বহাল রাখার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সিদ্ধান্তকে ‘পশ্চাৎপদ’ বলেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে তারা জানিয়েছে, রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ইস্যুতে নারীদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবিকে গুরুত্ব না দিয়ে সব রাজনৈতিক দলের এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া ‘বিস্ময়কর’।

আজ বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে এসব মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ।

সংগঠনটির সভাপতি ফওজিয়া মোসলেম ও সাধারণ সম্পাদক মালেকা বানুর সই করা বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন থেকে আমরা জানলাম, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে জাতীয় সংসদে মনোনয়নের মাধ্যমে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের নারী আন্দোলন এই সিদ্ধান্ত তীব্র ক্ষোভের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করছে।’

নারী আসনের বিষয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় নারী সমাজের কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন না জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, একটি গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়ন ইস্যুতে নারী সমাজের দীর্ঘদিনের আন্দোলন ও দাবিকে গুরুত্ব না দিয়ে সব রাজনৈতিক দল এ রকম পশ্চাৎপদ সিদ্ধান্তে কীভাবে একমত হলো, সে বিষয়ে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ গভীর বিস্ময় প্রকাশ করছে।

বিবৃতিতে সংরক্ষিত নারী আসন নিয়ে পাঁচটি দাবি তুলে ধরে বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—সংরক্ষিত নারী আসনে মনোনয়নের প্রথা বাতিল, নারী আসনসংখ্যা ন্যূনতম এক-তৃতীয়াংশে উন্নীত করা এবং একটি সুনির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকা থেকে সংরক্ষিত নারী আসনে জনগণের সরাসরি ভোটের মাধ্যমে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা।

বিবৃতিতে মনোনয়নের মাধ্যমে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসন বহাল রাখার কমিশনের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করার দাবি জানায় বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ। একই সঙ্গে গণতান্ত্রিক, সমতাভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে নারীর রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের ইস্যুতে সব রাজনৈতিক দল ও জনগণকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানায় সংগঠনটি।



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button