শিরোনাম
‘শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করলে সুস্থ হবে’ বলা কবিরাজকে ধর্ষণ মামলায় গ্রেপ্তারকেন আলাস্কাতেই হবে ট্রাম্প-পুতিন বৈঠক, দেন-দরবার কার পক্ষে যাবে‘কাল দেখা হইবে, ভালো থাকিস’—ছেলেকে বলেছিলেন গণপিটুনিতে নিহত প্রদীপছাত্রদলসহ অধিকাংশ সংগঠন ঢাবির হলে রাজনীতির পক্ষে, গণরুম-গেস্টরুম সংস্কৃতি বন্ধের প্রস্তাবসাবেক এমপি, মেয়রসহ ৩৫ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিটএমা থম্পসনকেও প্রেমের প্রস্তাব, যেভাবে প্রত্যাখ্যাত হন ট্রাম্পজুলাই সনদ বাস্তবায়নে তিন বিকল্প প্রস্তাব বিশেষজ্ঞদেরমহিলা চোর চক্রের ৩ সদস্য ননদ, ভাবি ও শাশুড়ি আটকবহুগুণে আইনশৃঙ্খলা ভালো, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন করতে পারব: ধর্ম উপদেষ্টানরসিংদীতে হাসপাতাল থেকে নবজাতক চুরি

অভ্যুত্থানের ৯০ মিনিটের খেলায় ৫ মিনিটে গোল দিয়ে অন্য কেউ হিরো: ভিপি নুর

অভ্যুত্থানের ৯০ মিনিটের খেলায় ৫ মিনিটে গোল দিয়ে অন্য কেউ হিরো: ভিপি নুর

‘চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্র অধিকার পরিষদ ৯০ মিনিটের খেলার মধ্যে ৮৫ মিনিট খেলেছে, শেষ ৫-১০ মিনিটে গোল দিয়ে অন্য কেউ আন্দোলনের নায়ক হয়ে গেছে’ বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।

রোববার (১০ আগস্ট) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে বুদ্ধিজীবী চত্বরে শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদ আয়োজিত “আঠারো হতে চব্বিশ, কোটা সংস্কার হতে রাষ্ট্রসংস্কার” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নুর এ মন্তব্য করেন।

নুরুল হক নুর বলেন, নব্বইয়ের স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে রাকসু, চাকসু, জাকসু, ঢাকসুর নেতারা অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন। কিন্তু নব্বইয়ের পর যারা ক্ষমতায় এসেছিল, তারা ছাত্রনেতৃত্বকে বিকশিত করার বদলে ছাত্র সংসদ বন্ধ করে দিয়েছিল। তারা ছাত্রদেরকে মেধাবী নেতৃত্বের পরিবর্তে গুন্ডা বাহিনী হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিল। ফলে ছাত্ররাজনীতি তরুণদের কাছে ঘৃণার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ফ্যাসিস্টরা এই দেশের ক্ষমতায় বসেছিল এবং সংসদের গুরুত্বপূর্ণ পদে অযোগ্য ব্যক্তিদের বসিয়ে রেখেছিল।

সাবেক ডাকসুর ভিপি নুর বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে বর্তমানে একধরনের অনিশ্চয়তা বা কালো মেঘের ঘনঘটা বিরাজ করছে। নেতৃত্ব দেওয়ার মতো যোগ্য মানুষের অভাব রয়েছে, এবং এই পরিস্থিতিতে ছাত্র অধিকার পরিষদ ও গণঅধিকার পরিষদের জন্য একটি সুযোগ তৈরি হয়েছে। কারণ, এই সংগঠন কোনো নির্দিষ্ট আদর্শিক বা ধর্মভিত্তিক দল নয়; এটি একটি উদারপন্থী রাজনৈতিক ধারার রাজনীতি করতে চায়।

প্রধান আলোচকের বক্তব্যে ছাত্র অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান বলেন, ১৮ এবং ২৪ সালের কোটা আন্দোলনই প্রমাণ করে, যখনই শিক্ষার্থীরা নিপীড়নের শিকার হয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে। চব্বিশ সালের অভ্যুত্থানে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যে গণজোয়ার তৈরি হয়েছিল, তা ছিল উল্লেখযোগ্য।

রাবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি মেহেদী মারুফ বলেন, অভ্যুত্থানের পর শিক্ষার্থীদের মধ্যে যে আশা-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছিল, তার প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে না। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার কেবল সংস্কারের রূপরেখা দিচ্ছে, কিন্তু তার বাস্তবায়ন চোখে পড়ছে না। শিক্ষার্থীরা শিক্ষাক্ষেত্রে উন্নয়নের স্বপ্ন দেখলেও এ খাতে বরাদ্দ অত্যন্ত কম।

ছাত্র অধিকার পরিষদ রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়া শুভর সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন ’১৮-এর কোটা সংস্কার আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ মোন্নাফ, রাবি শাখা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাবেক সভাপতি নাঈমুল ইসলাম নাইম, ছাত্র অধিকার পরিষদ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিফুল ইসলাম সোহান এবং কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রোকেয়া জাবেদ মায়া। এ ছাড়া রাজশাহী জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।


ক্রাইম জোন ২৪

আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button