শিরোনাম

মা-বাবার জন্য দোয়া করবেন যেভাবে

মা-বাবার জন্য দোয়া করবেন যেভাবে

মা-বাবা পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্পদ এবং নিরাপদ আশ্রয়স্থল। তাঁদের আদর-সোহাগে আমাদের জীবনের ভিত্তি রচিত হয়। তাঁদের ত্যাগ ও পরিশ্রমে গড়ে ওঠে সুন্দর ভবিষ্যৎ। তাঁদের ভরসায় আমরা শক্তি পাই এবং তাঁদের দোয়ায় জীবন সার্থক হয়। ইসলাম তাই মা-বাবাকে সর্বোচ্চ সম্মান দিয়েছে এবং তাঁদের প্রতি সদাচরণকে আল্লাহ তাআলার ইবাদতের পরই স্থান দিয়েছে।

পবিত্র কোরআনের অসংখ্য আয়াতে আল্লাহ তাআলা বারবার মা-বাবার মর্যাদার কথা বলেছেন এবং তাঁদের সঙ্গে উত্তম আচরণের নির্দেশ দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘আর তোমরা আল্লাহরই ইবাদত করো এবং তাঁর সঙ্গে কোনো বিষয়ে অংশীদার স্থাপন কোরো না এবং মাতা-পিতার সঙ্গে সদ্ব্যবহার করো।’ (সুরা নিসা: ৩৬)

নবী করিম (সা.) তাঁর বিভিন্ন হাদিসে মা-বাবার প্রতি ভালোবাসা ও খেদমতের ফজিলত বর্ণনা করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘যে সন্তান তার পিতামাতার দিকে সশ্রদ্ধ ও ভালোবাসার নজরে তাকায়, সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহ তার আমলনামায় একটি কবুল হজের সওয়াব দেন।’ উপস্থিত সাহাবিগণ প্রশ্ন করলেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল, সে যদি দৈনিক ১০০ বারও তাকায়?’ উত্তরে রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, ‘হ্যাঁ, যদি দৈনিক ১০০ বারও তাকায়, তাহলে সেই সন্তান ১০০ কবুল হজের সওয়াব পাবে।’ (শুআবুল ইমান: ৭৪৭২)

মা-বাবার খেদমতকে জান্নাতে প্রবেশের মাধ্যম হিসেবে উল্লেখ করে রাসুল (সা.) বলেন, ‘তার নাক ধূলিমলিন হোক, আবারও নাক ধূলিমলিন হোক, আবারও নাক ধূলিমলিন হোক।’ যখন জিজ্ঞেস করা হলো, ‘কোন ব্যক্তির, হে আল্লাহর রাসুল?’ তিনি বললেন, ‘যে তার মা-বাবা উভয়কে অথবা একজনকে বার্ধক্যাবস্থায় পেল অথচ সে (তাদের খেদমত করে) জান্নাতে প্রবেশ করতে পারল না।’ (সহিহ মুসলিম: ৬৪০৪)

সদাচার, খেদমতের পাশাপাশি ইসলাম মা-বাবার জন্য দোয়া করারও নির্দেশ দিয়েছে। কীভাবে তাঁদের জন্য দোয়া করতে হবে তা পবিত্র কোরআনে শিখিয়ে দিয়েছেন আল্লাহ তাআলা নিজেই। তিনি বলেন, অনুকম্পায় তাঁদের প্রতি বিনয়াবনত থাক এবং বলো—‘হে আমার রব, তাঁদের প্রতি দয়া করুন, যেভাবে শৈশবে তাঁরা আমাকে লালন-পালন করেছিলেন।’ (সুরা বনি ইসরাইল: ২৪)



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button