কলকাতায় অফিস খুলে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু করেছেন শেখ হাসিনা: রিজভী


ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রিত্ব হারিয়ে ভারতে অবস্থান করা শেখ হাসিনা পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় অফিস খুলে বাংলাদেশবিরোধী ষড়যন্ত্র শুরু করে দিয়েছেন—এমন দাবি করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, শিশু, কিশোর, ছাত্র-জনতার রক্ত পান করে জনতার ঢেউয়ে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। পালিয়েও তিনি ষড়যন্ত্র থামাচ্ছেন না।
রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আজ শুক্রবার বিকেলে এক সমাবেশে তিনি এই দাবি করেন। বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্ট সমাবেশটি আয়োজন করে।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, শেখ হাসিনার নির্যাতন থেকে কেউই রেহাই পায়নি। বিএনপি করা সনাতন ধর্মাবলম্বীরা বঞ্চিত ছিলেন। শেখ হাসিনার পরিবার ও তাঁর নাতি-নাতনি ছাড়া কাউকেই তিনি ভালোবাসতেন না। আর দলের কিছু লোকদের টাকা পাচার ও লুট করার সুযোগ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, অপকর্ম, লুটপাট, টাকা পাচার—এসব করে নিজেকে সামাল দিতে পারছেন না বলে পাশের দেশ (ভারত) থেকে তিনি উল্টাপাল্টা করছেন, ষড়যন্ত্র করছেন। শেখ হাসিনা বলতেন, দেশের মানুষ তাঁকে ভালোবাসে। তাহলে তাঁর অফিস কলকাতায় কেন? পালিয়ে গেলেন কেন?
বিএনপির এই নেতা বলেন, নিজের ক্ষমতা ও গদি টিকিয়ে রাখার জন্য বিদেশিদের কাছে মৌলবাদ ও জঙ্গিবাদে দেশ ভরে গেছে বলে উপস্থাপন করতেন শেখ হাসিনা। এ দেশ সাম্প্রদায়িক বিভাজনে ভরপুর—এসব দেখাতে চেয়েছেন। আমাকে ভোট দিন (শেখ হাসিনাকে) বলে দিনের ভোট রাতে করেছেন। মানুষের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছেন ফ্যাসিস্ট হাসিনা। তিনি এত নিপীড়ন, নির্যাতন করার পরও খালেদা জিয়া এ দেশ থেকে পালাননি।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পূজা উদ্যাপন ফ্রন্টের সভাপতি অপর্ণা রায় দাস, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. নিতাই রায় চৌধুরী, গণফোরামের সভাপতি আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী প্রমুখ।