জয়দেবপুর রেল জংশনে শহীদ ‘মুগ্ধ’র নামে সুপেয় পানির কর্নার উদ্বোধন


জয়দেবপুর রেল জংশনে শহীদ ‘মুগ্ধ’র নামে সুপেয় পানির কর্নার উদ্বোধন
গাজীপুর প্রতিনিধি
প্রকাশ : ০৫ আগস্ট ২০২৫, ১৩: ৫৪
আজ সকালে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন কর্নারটি উদ্বোধন করেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শিক্ষার্থী মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধর স্মরণে গাজীপুর মহানগরীর জয়দেবপুর রেলওয়ে জংশনে নির্মাণ করা হয়েছে ‘মুগ্ধ সুপেয় পানির কর্নার’। জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পূর্তির দিনে মঙ্গলবার (৫ আগস্ট) সকালে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন কর্নারটি উদ্বোধন করেন।
এই কর্নার থেকে ট্রেনের সাধারণ যাত্রী ও স্থানীয়রা তাদের পিপাসা মিটানোর জন্য বিনা মূল্যে সুপেয় পানি পান করতে ও নিতে পারবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৮ জুলাই রাজধানীর উত্তরার আজমপুরে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন মুগ্ধ। তিনি বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনলাসের (বিইউপি) শিক্ষার্থী ছিলেন। সেখানে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঠিক আগে মুগ্ধ আন্দোলনকারীদের জন্য পানি ও বিস্কুট নিয়ে বলে যাচ্ছিলেন, পানি লাগবে? পানি? মুগ্ধর পানি নিয়ে ফেরি করার এই ভিডিও সে সময় আন্দোলনে নতুন মাত্রা যোগ করেছিল। তার মৃত্যু ঘিরে তোলপাড় হয়েছিল দেশজুড়ে। মুগ্ধর সেই পানি বিতরণের স্মৃতি ধারণ করার জন্যই উদ্যোগটি স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

কর্নারটি উদ্বোধনের সময় উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন) মো. জাহিদুল হাসান ও জেলা পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলীসহ অন্যরা।
জেলা প্রশাসক বলেন, মুগ্ধ কর্নারটি গাজীপুরের শ্রমজীবী মানুষ ও স্টেশনে আগত যাত্রীদের সুবিধার জন্য নির্মিত হয়েছে। এর মাধ্যমে মুগ্ধর স্মৃতি স্মরণীয় হয়ে থাকবে।
জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী জানান, গাজীপুর জেলা পরিষদ ৯ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ব্যয়ে মানুষকে সুপেয় পানি প্রদানের জন্য কর্নারটি নির্মাণ করেছে।
গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. দেলোয়ার হোসেন জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ মুগ্ধর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্মিত এই উদ্যোগকে স্বাগত জানান। তিনি বলেন, বাংলাদেশে রেলওয়ে স্টেশনগুলোতে বিশুদ্ধ পানির খুব অভাব। গাজীপুর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কর্নারটি নির্মাণ করায় সাধারণ যাত্রী ও স্থানীয় মানুষের বিশুদ্ধ পানির চাহিদা কিছুটা হলেও পূরণ হবে।