শিরোনাম

টালিউডে নিজেকে বহিরাগত মনে করেন না জয়া আহসান

টালিউডে নিজেকে বহিরাগত মনে করেন না জয়া আহসান

এক যুগের বেশি সময় ধরে পশ্চিমবঙ্গে কাজ করছেন জয়া আহসান। টালিউডে তাঁর জনপ্রিয়তাও কম নয়। তবে গত বছর বাংলাদেশের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর বদলে গেছে প্রেক্ষাপট। কমেছে দুই বাংলার শিল্পীদের আদান-প্রদান। এ ক্ষেত্রে ব্যতিক্রম জয়া আহসান। এখনো সমানতালে টালিউডে কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশের এ অভিনেত্রী। সম্প্রতি ১৫ দিনের ব্যবধানে পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে জয়ার দুটি সিনেমা। এ ছাড়া সম্প্রতি শেষ করেছেন ‘আজও অর্ধাঙ্গিনী’ সিনেমার শুটিং। তবে জয়ার টালিউডে কাজ করা নিয়ে সম্প্রতি প্রশ্ন তুলেছেন পশ্চিমবঙ্গের একাধিক রাজনৈতিক ব্যক্তি। কেউ কেউ জয়াকে বয়কটেরও দাবি জানিয়েছেন। কিন্তু এসব নিয়ে বিচলিত নন অভিনেত্রী। বরং সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানালেন, টালিউডে নিজেকে বহিরাগত মনে করেন না তিনি।

গত ১৮ জুলাই অনিরুদ্ধ রায়চৌধুরীর ‘ডিয়ার মা’ সিনেমা মুক্তির পর ১ আগস্ট পশ্চিমবঙ্গে মুক্তি পেয়েছে সুমন মুখোপাধ্যায়ের ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’। দুটি সিনেমার প্রচারে কলকাতায় ব্যস্ত সময় পার করছেন জয়া। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, সংস্কৃতির ক্ষেত্রে রাজনৈতিক পরিস্থিতি কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায় কি না? উত্তরে জয়া আহসান বলেন, ‘আমি টালিউডে অনেক দিন ধরেই কাজ করছি। ১২ বছরের ওপরে। এখানে নিজেকে ওন করি এখন।

আমার মনে হয় কলকাতাও আমাকে ওন করে। সব সময় বলি, আমি বাংলার জন্য কাজ করি। বাংলাদেশ বা ভারতে যে বাঙালিরা আছেন, শুধু তাঁদের জন্য নয়, পুরো পৃথিবীর সব বাঙালির জন্য কাজ করতে চাই। আমাদের শিল্পীদের কাজ হচ্ছে যুক্ত করা। রাজনৈতিক কারণে নানান দেশের মধ্যে সম্পর্ক বদলাচ্ছে, সেটা হবে। কিন্তু আমাদের শিল্পীদের কাজ হচ্ছে ভালোবাসা দিয়ে সবাইকে একত্র করা। সবার ভালোবাসাই তো আমাকে এখানে (টালিউডে) নিয়ে এসেছে। এখন পর্যন্ত এখানে কোনো দিন এমন কিছু পাইনি, যে কারণে আমাকে ভাবতে হচ্ছে আমি বহিরাগত।’

এর আগে আরেক সাক্ষাৎকারে জয়া বলেছিলেন, ‘কোনোভাবেই শিল্পীদের বিচ্ছিন্নতা কাম্য নয়। শিল্পীদের কাজ হচ্ছে সবকিছু একত্র করা। আমরা যে রকম বলি, গ্লোবালি আমরা বেঁচে আছি, সে অর্থে শিল্পীদের তো কোনো ভৌগোলিক সীমারেখাই থাকা উচিত নয়। তার ওপর আমাদের সংস্কৃতি এক, মূল্যবোধ এক, আবেগ-অনুভূতি এক, সেখানে আমরা কেন বিচ্ছিন্ন থাকব!’

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিয়ে টানাপোড়েন প্রসঙ্গে জয়ার ভাষ্য, ‘রাজনৈতিক পটভূমির যে ব্যাপারগুলো, তা যাঁরা দেশের নীতিনির্ধারক আছেন, এসব তাঁদের সমস্যা। এসব সমস্যা তাঁরাই আলোচনার মাধ্যমে ঠিক করবেন। আমাদের দুই দেশের জনগণের মধ্যে কোনো বিদ্বেষ, কোনো রকম অসহিষ্ণুতা কখনোই কাম্য নয়, সেটা আমরা হতে দিতে চাই না।’



আরও দেখান

সম্পর্কিত খবর

Back to top button